মঙ্গলবার (১২ এপ্রিল) পার্বত্য চট্টগ্রামের বাংলাদেশী বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব উপলক্ষে এক বাণীতে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, আবহমানকাল ধরে বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্যে বসবাস করছে। প্রতিটি উৎসবই মনুষ্যত্বের উন্মীলন ঘটায়। উৎসব জাতীয় জীবনে সংকীর্ণতার সীমানা পেরিয়ে সমন্বয় ও ঐক্যের ক্ষেত্রকে প্রসারিত করে। লোকজ সংস্কৃতির স্বার্থকে সংরক্ষণ ও চর্চাই হচ্ছে সভ্যতার ধারক-বাহক। পারস্পরিক শুভেচ্ছাবোধ ও মিলনের গানই গীত হয় বাংলাদেশের রাঙা মাটির পথে পথে।
বাংলাদেশের পাহাড়ী নৃ-গোষ্ঠীর বর্ষবরণ উৎসব বিঝু, সাংগাই, বৈসুক, বিষু ও বিহু উপলক্ষে সব সম্প্রদায়ের প্রতি প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানিয়ে ফখরুল বলেন, এটি তাদের প্রধান সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোর একটি। আমাদের জাতীয় স্বত্বার অবিচ্ছেদ্য অংশ পার্বত্য বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস। পার্বত্য বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর জনগণের ঐতিহ্য আমাদের দেশীয় চেতনার অন্যতম স্তর। আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির সমন্বিত রূপের অংশ পাহাড়ী নৃ-গোষ্ঠীর ঐশ্বর্যমন্ডিত সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য।
বিএনপি মহাসচিব এদেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীর তথা সকল ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর সমান অগ্রগতি ও বিকাশ কামনা করেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, এই উৎসবের দিনগুলো আনন্দে ভরে উঠুক আর সবার জন্য অনাবিল শান্তি ও সুখের হোক-এই কামনা রইল।
Leave a Reply