শুক্রবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি ক্ষমতাসীনরা আগের মতোই আরেকটা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, রাজনৈতিক প্রশ্ন ইচ্ছে, সরকার মুখে বলছে গণতন্ত্রের কথা। নির্বাচনের কথা বলছে। আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা গলার একেবারে ফেনা তুলে ফেলেছেন যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন তৈরি করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন নাটক করেই যাচ্ছে। সমস্ত নাগরিক সমাজের লোকজনদের ডাকছেন এবং সাংবাদিকদের ডাকছেন।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার, উনি খুব সুন্দর বাংলা বলেন। কথা বলার ভঙ্গিও সুন্দর। এমন কথা বলে মানুষকে কিছুটা বিমোহিত করার চেষ্টাও তিনি করেন। এই জিনিসগুলো কিন্তু সবচেয়ে ভয়াবহ। এই যে নাটকগুলো করা হচ্ছে। এই নাটকগুলো করে আজকে আবার আরেকটা নির্বাচন করার পাঁয়তারা করেছে। এবারও যে আগের মতো নির্বাচন হবে না, আগের নির্বাচন তো আগের রাতেই হয়ে গেছে। এখন ৭ দিন আগে সব সিদ্ধান্ত হবে কি না- আমরা তা জানি না।
গত কয়েকটি নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন তারা (সরকার) একই চেহারায় আবির্ভূত হয়ে নেতা কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার এবং ভয়-ভীতি ছড়িয়ে বিরোধী দলকে নির্মূলে অপচেষ্টার লিপ্ত রয়েছে। আর তাদের তথাকথিত যে নির্বাচন ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত করতে চায়, সেই নির্বাচনেও যাতে এককভাবে আগের মতোই করতে পারে- সেই কৌশল তারা গ্রহণ করেছে।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের গ্রেপ্তারের ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিনা উস্কানিতে ইশরাককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই সময় ঘটনাস্থলে ২০ থেকে ২৫ নেতাকর্মীরা ছিলো। এখন তারা ইশরাকের সাথে ৮৮ জনকে আসামি করে মামলা দিয়েছে।
ফখরুল বলেন, আমরা শুনেছি- সরকার তালিকা তৈরি করেছে। সেই তালিকাটা তৈরি করে যে যে জেলায় গুরুত্বপূর্ণ যত নেতারা আছেন- সেই মামলাগুলো দূরত্ব শেষ করে দেয়ার জন্য একটা সেলও করে দেয়া হয়েছে। সেই সেল করে দিয়ে এই মামলাগুলো দূরত্ব শেষ করে দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
Leave a Reply