এর আগে গতকাল শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মেঘা গ্রাম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত শাহাদাত হোসেন মেঘা গ্রামের বাবুলের ছেলে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ মার্চ দুপুরের দিকে শিশুটি নিখোঁজ হয়। তাকে না পেয়ে পরদিন চাটখিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন শিশুটির বাবা। এরপর পুলিশ ও স্থানীয়রা বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেও শিশুটির সন্ধান পায়নি। ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে শাহাদাতের গতিবিধি ও আচার-আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় তাঁকে নজরদারিতে রাখে পুলিশ। গতকাল শাহাদাতকে আটক করা হয়। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন যে, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ বস্তাবন্দী অবস্থায় সেপটিক ট্যাংকের পাশে রেখে দেন।
এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গিয়াস উদ্দিন বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহাদাত স্বীকার করেন, গত ২৪ তারিখ দুপুরে শিশুটিকে তাদের উঠান থেকে ডেকে নিজের ঘরে নিয়ে গিয়ে হাত-মুখ চেপে ধরে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের কারণে রক্তপাত হওয়ায় শাহাদাত তাকে মুখ ও গলা চেপে ধরে হত্যা করেন। একপর্যায়ে পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তাবন্দী করে মরদেহটি সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেন। তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতেই শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
জেলা পুলিশ সুপার বলেন, আজ দুপুরে শাহাদাত হোসেনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হবে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply