এদিকে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের পৃথক এক প্রতিবেদন অনুসারে, রোববার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দেশটির প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভিকে ‘পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার’ পরামর্শ দেন। পাকিস্তানের সংবিধানের ৫৮ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া এই অধিবেশনে কাসিম খান সুরি বলেন, ‘অনাস্থা পদক্ষেপ সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এটি অসাংবিধানিক।’ পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন ও জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের অধীনে রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করা প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক কর্তব্য।’ এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পূর্বের দাবিগুলো পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পদক্ষেপের পেছনে একটি বিদেশি ষড়যন্ত্র ছিল।’
তবে বিরোধী আইন প্রণেতারা সংসদ ভবনে যাওয়ার সময় অনাস্থা পদক্ষেপের সাফল্যের বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। কিন্তু পরে স্পিকারের এমন সিদ্ধান্তে তাঁরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। গতকাল পাকিস্তানের বিরোধী দলের সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধিদল দেশটির জাতীয় পরিষদের স্পিকার আসাদ কায়সারের বিরুদ্ধেও অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে।
এদিকে পিএমএল-এনের মরিয়ম আওরঙ্গজেব একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে বিরোধী দলগুলো ১৭২ ভোটের জাদুকরী অঙ্কটি অতিক্রম করতে ১৭৪ সাংসদের সমর্থন পেয়েছে।
জিও নিউজ লিখেছে, অধিবেশনে যোগ দেওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান আত্মবিশ্বাসী ছিলেন যে তিনি তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাবকে পরাজিত করতে পারবেন।
পাকিস্তানের সংবিধানে বলা আছে, জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপনের সাত দিনের মধ্যে ভোটাভুটি হওয়া বাধ্যতামূলক। সেই বাধ্যবাধকতা মেনেই আজ রোববার ভোটাভুটির দিন ধার্য করা হয়েছিল।
Leave a Reply