মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১ টায় উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠ থেকে এসব বাস চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছুদ্দৌজা নয়ন।
তিনি জানান, বিকালে ভাসানচরের উদ্দ্যেশে দ্বিতীয় ধাপে আরও একটি বহর রওনা দেবে।
সামছুদ্দৌজা বলেন, দুপুরে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন আশ্রয় শিবির থেকে ত্রয়োদশ দফায় প্রথম ধাপে ১ হাজার ৯৬ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে ২০ টি বাসে চট্টগ্রামের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। বিকালে দ্বিতীয় ধাপে ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য রোহিঙ্গাদের আরও একটি বহর রওনা দেয়ার কথা রয়েছে।
রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের বহনকারী কয়েকটি বাসও রওনা দেয় বলে জানান অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার।
সামছুদ্দৌজা বলেন, স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে আগ্রহ প্রকাশকারী রোহিঙ্গাদের নাম তালিকাবদ্ধের জন্য উখিয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে একটি অস্থায়ী বুথ খোলা হয়েছে। সেখানে শুধু স্বেচ্ছায় ভাসানচর যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের নাম নিবন্ধন করা হচ্ছে।
গত ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে প্রথম রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে কার্যক্রম শুরু হয়।
এরপর দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের সহায়তা কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হওয়ার সম্মতি প্রকাশের মাধ্যমে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা-ইউএনএইচসিআর।
এর আগে দ্বাদশ দফা পর্যন্ত কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছিল ২৪ হাজার ৫৭৮ জন রোহিঙ্গাকে।
এবারের ত্রয়োদশ দফায় প্রথম ধাপের ১ হাজার ৯৬ জনসহ ২৫ হাজার ৬৭৪ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টদের তথ্য মতে, গত ২০২০ সালে সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরগুলো থেকে এক লাখ রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করা হবে। সরকারের ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
ওই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে বাসস্থানসহ অবকাঠামোগত সবধরণের সুযোগ-সুবিধার নির্মাণ ও প্রস্তুতি সম্পন্ন করে সরকার।
Leave a Reply