মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আসে। এরপর রাজু ভাস্কর্যে প্রতিবাদ সমাবেশ ‌অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল বলেন, ‘১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে রাজারবাগ পুলিশ ফাঁড়িতে আমাদের পুলিশ বাহিনী প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। পুলিশের এই গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বাংলার বুকে সবসময়ই ছিল। কিন্তু বর্তমান পুলিশের আইজি এবং ডিএমপি কমিশনার হালুয়া রুটির লোভে সমগ্র পুলিশ বাহিনীতে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তারা নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে পুলিশের পোশাক পরে রাজনৈতিক নেতার ভাষায় কথা বলছে। আমরা বলে দিতে চাই, সাবেক তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে ডিএমপি কমিশনারের বাজে মন্তব্য ছাত্রসমাজ কখনো মেনে নেবে না। ছাত্রদল সবসময় ছাত্রসমাজকে সাথে নিয়ে দলবাজ পুলিশদের প্রতিরোধ করবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে যে পুলিশ বাহিনী বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে, সেই বাহিনীকে কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকতা আজ ফ্যাসিস্ট অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকারের দোসরে পরিণত করেছে। ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যে ধৃষ্টতা দেখিয়েছে, তা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে।’

তিনি তার বক্তব্যে পুলিশ বাহিনীকে রাজনীতিকরণ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। অন্যথায় সাধারণ জনগণ এ ধরনের কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনবে বলে হুশিয়ারি দেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় পরিচালিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল। এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সহ-সভাপতি মামুন খান, যুগ্ম-সম্পাদক তানজিল হাসানসহ প্রায় তিন শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।