1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।

হাসপাতালে রোগীর স্বামীর ওপর হামলার মামলায়, আসামিদের জামিন

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২২ মার্চ, ২০২২
  • ৩৫ 0 বার সংবাদি দেখেছে
ফরিদপুর প্রতিনিধি // ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীর স্বামীকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখমের অভিযোগে করা মামলার অভিযুক্ত নার্স ইলা শিকদার ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ নয়নসহ সব আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে। উচ্চ আদালত থেকে ২১ দিনের অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন পেয়েছেন তারা।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল সুমন রঞ্জন সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সব তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা হয়েছে। শুধু মেডিকেলের রিপোর্ট পেতে বাকি। সেটা পেলেই আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হবে।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, ওই নার্স তাকে ফোন করে আগাম জামিনের কথা জানিয়েছেন। তবে তাকে কর্মস্থলে যোগদানে নিষেধ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি নার্স ইলা শিকদারের সরাসরি সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে। আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। তাদের কাছ থেকে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি।

জানা গেছে, শহরের টেপাখোলা বিন্দাবনের মোড় এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত খায়ের মোল্যার সন্তান ফাহিম আহমেদ রাসেল তার স্ত্রী হীরা ওরফে বাঁধনকে গত ২১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে প্রতিদিন দুই বার রক্ত পরীক্ষার নির্দেশনা দেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সরকারি হাসপাতালের প্যাথলজি ল্যাব বন্ধ থাকায় বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে রক্ত পরীক্ষার জন্য রাসেল কর্তব্যরত নার্স ইলা শিকদারকে স্ত্রীর শরীর থেকে সিরিঞ্জে রক্ত টেনে দিতে বলেন। নার্স ইলা এতে অপারগতা জানালে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে মোবাইলে দেবাশীষ নয়নকে ডেকে এনে হাসপাতালের ভেতরেই রাসেলকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠে। গুরুতর আহত রাসেলকে প্রথমে ফরিদপুরের মেডিকেল হাসপাতালে ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ওই নার্স ইলা শিকদার, নার্সিং সুপারভাইজার জহুরা বেগম ও দেবাশীষ নয়নসহ অজ্ঞাত আরো দুজনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে দেবাশীষ নয়ন জেলা ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহসভাপতি ছিলেন।

জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ হতে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট আবু আহমেদ আব্দুল্লাকে প্রধান এবং ডেপুটি সিভিল সার্জন শাহ মো. বদরুদ্দোজাকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করেন।

হামলার শিকার ফাহিম আহমেদ রাসেল বলেন, এ মামলার একজন আসামিও গ্রেপ্তার হয়নি। এই সুযোগে তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ অবস্থায় আমি পুলিশকে আমার নিরাপত্তাহীনতার কথা জানিয়েছি। তিনি অভিযোগ করেন, আসামিরা রাজনৈতিক আশ্রয়ের লোক। ওই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিয়ে তিনি শঙ্কিত।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ