পরবর্তীতে ক্যাম্পাসের কয়েকজন আনসার সদস্য ও শিক্ষার্থী মিলে প্রায় ৩০ মিনিট চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। তবে কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে এ বিষয়ে বলতে পারেন নি আশপাশের কেউ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মসজিদ ও কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের মধ্যবর্তী লালন পাহাড় নামে পরিচিত ওই পাহাড়ের প্রায় অর্ধেকটাই আগুনে পুড়ে গেছে। কোথাও বা আগুন জ্বলছে, কোথাও আগুন নিভে কালো বর্ণ ধারণ করেছে। বেশ কিছু পাখিকে পাহাড়ি জঙ্গলের আশ্রয় হারিয়ে ছোটাছুটি করতে দেখা গেছে।
আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়া আনসারের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডার বাচ্চু মিয়া জানান, আমি হঠাৎ আগুন লাগার খবর শুনে ছুটে এসে দেখি এই পাহাড়ে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। পরে আরও কয়েকজন আনসার ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় নেভাতে পেরেছি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্যাম্পাসের এসব পাহাড়ে প্রশাসনের সুষ্ঠু তদারকির অভাবে বহিরাগতরা নিয়মিত যাতায়াত করে। ক্যাম্পাসের অনেকেই মনে করছেন, আগুন লাগার পেছনে তাদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, আগুন লাগার ধরণ দেখে মনে হচ্ছে, এটা হুট করে সিগারেট বা দুর্ঘটনা থেকে সৃষ্টি হয় নি। কারণ আগুন ছড়িয়ে ছিটিয়ে বিভিন্ন জায়গায় জ্বলছে। এটা বহিরাগতদের কাজ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, বিষয়টা আমি শোনা মাত্রই সিকিউরিটি অফিসারকে ফোন দিয়ে বলেছি, সেখানে আনসার পাঠিয়ে আগুন নেভাতে এবং কে বা কারা আগুন লাগিয়েছে খোঁজ নিতে। ক্যাম্পাসে অনেক ছোটখাটো পাহাড় আছে এগুলো সার্বক্ষণিক নজরে রাখা কঠিন।
তবে আগুন কীভাবে লেগেছে জানা মাত্রই তার ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply