মাঠের বাইরে সবাই ভেবেছিল এই গতিতেই হয়তো খেলা চলবে। তবে দ্বিতীয় বাউন্ডারির পর আর থামেননি সাকিব। তার আগ্রাসী ব্যাটিং থেকে ৬৪ বলে এসেছে ৭৭ রান। দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে ৩১৪ রানের ভিত গড়ে দেন এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৩৮ রানের জয়ে শেষ পর্যন্ত ম্যাচসেরা হন সাকিবই।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে বাংলাদেশের প্রথম জয় এটি। কিন্তু প্রথম আনন্দটা এসেছে সাকিবের ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ব্যাটিং থেকেই।
ম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে অলরাউন্ডার সাকিব বলেন, ‘আমি ভাবছিলাম দ্রুত রান করা উচিত। তা না হলে আমরা ২৬০-২৭০ রানের বেশি করতে পারতাম না। আমরা যে ছন্দটা পাই ৩০ ওভারের সময়, ওটাই ম্যাচের চেহারা পাল্টে দিয়েছে। আমরা জানতাম যে ডেথ ওভারে রাবাদা তিন-চার ওভার বোলিং করবে। চেষ্টা করেছিলাম যেন তারা রাবাদাকে আগে বোলিং করাতে বাধ্য হয়। সে জন্যই আমাদের ঝুঁকি নিতে হয়েছে। এটাই আমরা করতে সক্ষম হয়েছি।’
উল্লেখ্য, ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণের প্রধান হাতিয়ার। অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা শেষ দশ ওভারে বোলিং করানোর জন্য বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাকে। কিন্তু সাকিবের কৌশলে সেই পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।
সাকিবের এই কৌশল কাজে লাগানোর পেছনে অবশ্য অবদান রয়েছে দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের। ম্যাচের সবচেয়ে কঠিন সময়ে ব্যাটিং করে দুজন গড়েছেন ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। দুজনই নতুন বলের চ্যালেঞ্জটা সামলেছেন দারুণভাবে।
এ ব্যপারে সাকিব বলেন ‘আমাদের শুরুটাও ভালো হয়েছে। লিটন-তামিম ভালো শুরু এনে দিয়েছে। আমাদের জন্য ছন্দটা ধরে রাখা উচিত ছিল। কারণ নতুন বলের উজ্জ্বলতা চলে যাওয়ার পর রান করা সহজ মনে হচ্ছিল। সেই সুবিধাটাই নিতে চেষ্টা করেছি। ভাগ্য ভালো আজ সেটা কাজে লেগেছে।’
এছাড়াও সাকিব বলেন, ‘আমি যখন ক্রিজে আসি তখন বল তেমন কিছুই করছিল না যেমনটা প্রথম ১০ ওভারে করছিল। আমরা সোজা ব্যাটে খেলেছি, কিছু হিসেবি ঝুঁকি নিয়েছি। এটাই আজ কাজে লেগেছে।’
Leave a Reply