বুধবার (১৬ মার্চ) সকালে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম একটি সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) রাতে তাকে গাইবান্ধা পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, তৌহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে, অভিযোগ তদন্ত করার জন্য তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
২০২১ সালের ১০ এপ্রিল গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত উপদপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানার (৪২) বাসা থেকে ব্যবসায়ী হাসান আলীর (৪৫) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মাসুদসহ তিন জনকে আসামি করে হত্যা মামলা হয়। অপর দুই আসামি হচ্ছেন রুমেল হক ও খলিলুর রহমান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাইবান্ধা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) তৎকালীন ওসি মো. তৌহিদুজ্জামানের সঙ্গে মামলার এই দুই আসামির (রুমেল ও খলিলুর) স্বজনের ঘুষ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হয়। ফোনালাপে মামলার অভিযোগপত্র থেকে দুই আসামির নাম বাদ দেওয়া ও আইনের ধারা কমিয়ে দিতে টাকা লেনদেনের কথাবার্তা হয়। কথামতো কাজ না হওয়ায় টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ও ছিল ফোনালাপে।
প্রধান আসামি মাসুদ রানার বাসা গাইবান্ধা শহরের নারায়ণপুর এলাকায়। মাসুদ রানা দাদন ব্যবসা করতেন। প্রায় দুই বছর আগে মাসুদের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা ঋণ নেন শহরের স্টেশন রোডের জুতা ব্যবসায়ী হাসান আলী। এই টাকা সুদাসলে ১৯ লাখে দাঁড়ায়। সুদের টাকা দিতে না পারায় গত বছরের ৬ মার্চ লালমনিরহাট থেকে হাসানকে মোটরসাইকেলে তুলে আনেন মাসুদ। তিনি হাসানকে নিজ বাসায় এক মাসের বেশি আটকে রেখেছিলেন।
মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় হাসান আলীর স্ত্রী বীথি বেগম সদর থানায় মাসুদসহ তিন জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে মো. তৌহিদুজ্জামান দু’জনকে অভিযুক্ত করে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দেন। ১৮ জানুয়ারি তিনি সুন্দরগঞ্জের ওসি হিসেবে বদলি হন। পরে ৭ মার্চ আদালতের নির্দেশে সংশোধিত অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এতে তিন জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
Leave a Reply