শনিবার আল জাজিরা অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।
ইউক্রেনে রুশ সামরিক বাহিনীর অভিযান শুরুর আগে থেকে এ অঞ্চলটিতে রুশপন্থী বিদ্রোহীরা সক্রিয় ছিল। তারা ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে প্রায়ই লড়াইয়ে লিপ্ত হতো।
এ প্রেক্ষাপটে রুশ সেনাদের সহায়তায় ইউক্রেনের বাহিনীদের সরিয়ে তারা পুরো অঞ্চলটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিচ্ছে।
কাতারের দোহাভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি জানায়, বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলটি কিয়েভের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও সেখানে ক্রমাগত গোলাবর্ষণ অব্যহত রেখেছে রুশ বাহিনী। এতে বহু বেসামরিক লোকজন হতাহত হচ্ছেন।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ওই অঞ্চলটি ছেড়ে লোকজন অন্যত্র আশ্রয় নিতে চাচ্ছেন। গভর্নর সেরহি হাইদাই ফেসবুক পোস্টে জানান, সেখানে লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে কোনো মানবিক করিডোর নেই।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও শুরু করে রুশ বাহিনী।
যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানীর খবর পাওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ছেড়েছেন ২৫ লাখের বেশি মানুষ। তারা প্রতিবেশি দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছেন।
সূত্র জানায়, রাজধানী কিয়েভসহ রুশ সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রাশিয়ার সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।
Leave a Reply