নিজস্ব প্রতিবেদক // দীর্ঘদিন ধরে জনসাধারনের সাথে প্রতারণা করায় অবশেষে জরিমানা গুনতে হয়েছে বরিশাল সদর হাসপাতালের সামনে জেনারেল ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেসকে। গতকাল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানের জালে ফেসে গোমরফাঁস হয় প্রতারণার আশ্রয় নেয়া এই প্রতিষ্ঠানটির। জানাযায় ,বরিশাল সদর হাসপাতালের সেবা প্রত্যাশী রোগীরা তাদের জরুরী পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সম্মুখে থাকা ডায়াগণস্টিকমুখী হয়। রোগের অবস্থা নির্ণয়ে রোগীরা পরিক্ষার যথাযথ ফল প্রত্যাশায় অন্যান্য ডায়াগণস্টিকের পাশাপাশি ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেস মুখীও হন। এ সুযোগে প্রতিষ্ঠানটি প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগীদের সাথে স্বাস্থ্যগত সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা-নিরীক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবহার করে আসছিল।
দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা প্রতিষ্ঠানটির প্রতারণার অপকৌশল সম্পর্কে অবহিত না হলেও নজড়ে আসে ভোক্তা অধিকারের। প্রতারণা করে পরীক্ষায় রোগীর সর্বস্ব লুটে নেয়া এই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্বে কঠোর হন তারা। এরই ফলশ্রুতিতে অভিযান পরিচালনায় প্রকাশ্যে আসে জেনারেল ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেসের প্রতারণার অভিনব পহ্নাটি। যদিও ভোক্তা অধিকারের জালে ফেঁসে মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট আর ব্যবহার করবেনা বলেও এই প্রতিস্থানটি প্রতিশ্রুতিব্ধ হয়। তথাপি অভিযান শেষ হলেই ফের অপকৌশলে মেতে উঠবে জেনারেল ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেস বলে জানায় রোগীরা। প্রতিষ্ঠানটিকে শুধু জরিমানাই নয় আরো কঠোর শাস্তি আরোপের দাবী জানান অসহায় রোগীরা। এদিকে স্যাম্পল ওষুধও আর সংরক্ষণ করবে না বলে জানিয়েছে অভিযুক্ত ফার্মেসি মালিকরাও।
আরও জানাযায়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সদর হাসপাতালের সম্মুখে সকল ডায়াগণস্টিকে একযোগে অভিযান পরিচালনা করে। প্রতারণার আশ্রয় নেয়া একটি মাত্র প্রতিষ্ঠান জেনারেল ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেসকে নিশ্চিতপূর্বক জরিমানার আওতায় আনা হয়। এবিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বরিশাল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহ শোয়াইব মিয়া জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ রি-এজেন্ট সংরক্ষণ ও ব্যবহারের অপরাধে নগরের ‘জেনারেল ডিজিটাল মেডিকেল সার্ভিসেসকে ১০ হাজার এবং স্যাম্পল ওষুধ সংরক্ষণ, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও মূল্য কেটে অতিরিক্ত মূল্যে ওষুধ বিক্রির অপরাধে আরও পাঁচটি ফার্মেসিকে মোট ৭৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবেও বলে জানান তিনি । ১০ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের সহযোগিতায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারীর নেতৃত্বে অভিযানে আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পরিচালক সূমি রানী মিত্র, জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ শোয়াইব মিয়া। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরের সদররোড, হাসপাতাল রোড ও প্যারারা রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
Leave a Reply