নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালে নগরীর এ ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ্যাডহক কমিটিতে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দোসরকে প্রস্তাবিত নামের তালিকায় ১ নাম্বারে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়রা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কাছেও জানতে চেয়ে তার দপ্তরে গিয়েছিলেন ছাত্র ও জনতা। সেখানে বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চেয়ে কোন স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগের দোসরকে রাখা যাবে না বলেও তাকে অবহিত করেন তারা। এদিকে বিষয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিতে নগর বিএনপি’র সদস্য সচিব মো; জিয়াউদ্দিন সিকদারকে অহেতুক অভিযোগ দিচ্ছেন কয়েকটি মহল। অনুসন্ধান বেড়িয়েছে প্রকৃত ঘটনা।
অভিযোগ ও তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডস্থ এ ওয়াহেড মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এ্যাডহক কমিটি গঠনে সভাপতি পদে ৩ জন প্রার্থীর তালিকা সংশ্লিস্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়।
ছাত্র-জনতা অভিযোগে জানান, কমিটি গঠনে প্রস্তাবিত তালিকায় আওয়ামী লীগের দোসর বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছালাম মিয়ার স্ত্রীর নাম ১ নম্বরে উল্লেখ করা হয়। তিনি পতিত আওয়ামী লীগের দোসর হিসেবে আখ্যায়িত ও মামলার আসামিও। এদিকে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে তালিকায় প্রথম থাকা ব্যক্তিই সভাপতি পদে অগ্রাধিকার প্রাপ্ত হন। আর বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে কমিটি গঠনে ঐ ব্যক্তিকেই চুড়ান্ত এক নম্বরে রেখে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে তালিকা প্রেরণ করা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লেই ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে কোন আওয়ামী লীগের স্বৈরাচারী ব্যক্তিকে সভাপতি পদে আসীন করা না হয় এজন্য বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়। আর এটিকেই ভিন্নখাতে প্রবাহিতে নানা অসাধু কৌশল অবলম্বন করেন অপ-কৌশলকারীরা।
ঐ তালিকায় দুই নম্বরে রাখা হয় জিয়াউদ্দিন সিকদারকে। এই ইস্যু হিসেবে বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবহিতের বিপরীতে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে অহেতুক অভিযোগ তোলা হয়।
জানা গেছে, ঘটনার পুর্ব থেকেই জিয়াউদ্দিন সিকদার ঢাকায় অবস্থান করছেন। তিনি এ ঘটনার কোন কিছুই অবহিতও নন বলে জানান কর্মীরা।
এদিকে সুযোগে অপকৌশলকারীরা তালিকায় স্বৈরাচারী ব্যক্তির নাম রাখা নিয়ে বোর্ড চেয়ারম্যানকে অবহিত করতে গিয়ে ছাত্র-জনতাকে জিয়াউদ্দিন সিকদারের লোকজন বলে আখ্যায়িত করা হয়। যদিও এ বিষয়ে জিয়াউদ্দিন জানান, আমি ঢাকাতে রয়েছি। যারা বোর্ড চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলেন তাদের চিনিও না। এছাড়া আমি কোন লোক পাঠাইওনি। মুলত অসাধু আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিতের অপচেস্টা চালাচ্ছেন।
এ বিষয়ে ওয়াহেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তুষার কান্তি জানান, নিয়ম মেনেই বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। তালিকার ১ নং, ২ নং এগুলো গোপনীয় বিষয় । এটি আমাদের পক্ষে কোন মাধ্যমে প্রকাশে নিয়ম নেই। আমরা বিভাগীয় কমিশনার স্যারের কাছে দিয়েছি। তিনি যেভাবে ভাল মনে করেছেন সেভাবেই করেছেন।
বরিশাল শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ইউনুস আলী সিদ্দিকী জানান, যেহেতু নগরীর মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বিভাগীয় কমিশনার তালিকা নির্ধারণ করে পাঠিয়েছেন। এখানে আমাদেরতো কিছুই করার নেই।
Leave a Reply