নিজস্ব প্রতিবেদক: অভিযোগ দায়ের,তারপর মামলা রুজু হলেও এখনো আইনের আওতায় আসেনি চাঁদা দাবী করা আওয়ামী লীগ শেখর দাস ও তার সহোযোগিতারা। যদিও পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের ঘরার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে দাবী করা হচ্ছে। এদিকে, শেখর,খোকন ওরফে টাক খোকন এবং তার সহোযোগিতারা গ্রেফতার না হওয়ায় আতংক বিরাজ করছে স্পীড বোট মালিক এবং ড্রাইভারদের মধ্যে। বরিশাল নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড, ডিসি ঘাট সংলগ্ন স্পীডবোট ঘাটে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ করে বরিশাল জেলা স্পীড বোট মালিক ও ড্রাইভার সমবায় সমিতির পক্ষে লাইন ইনচার্জ তারেক শাহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা শেখর দাস, খোকন ওরফে টাক খোকন ও অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে বিবাদী করে কোতোয়ালি মডেল থানাসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন।। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরে বরিশাল জেলা স্পীড বোট মালিক এবং ড্রাইভার সমবায় সমিতির সদস্যগন ভোলাসহ দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে যাত্রী বহন করে আসছে। কিছুদিন পূর্বে স্থানীয় ১০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের !বহিস্কৃত সাধারণ সম্পাদক শেখর দাস, খোকন ওরফে টাক খোকনসহ অজ্ঞাত কয়েক ব্যাক্তি মালিক-ড্রাইভারদের কাছে স্পীড বোট চলার বিপরীতে মোটা অংকের টাকা দাবী করে।অন্যথায় এই ঘাট থেকে কোন বোট চালাতে না দেয়ার পাশাপাশি খুন করার হুমকি দেয় শেখর দাস, খোকন ও তার দলবল। একপর্যায়ে গত ২৫’শে মার্চ শেখর দাসকে চাঁদা বাবদ ৬২ হাজার টাকা প্রদান করে সমিতির নেতারা। তবে, শেখর দাস, খোকন ও তার দলবল এই টাকায় সন্তষ্ট না হয়ে পুনরায় ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে সমিতির কাছে। কিন্তু তারা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে ঘাট দখলের হুমকির পাশাপাশি প্রতিবাদকারীদের খুন করার হুমকি দেয় শেখর দাস, খোকন ও তার দলবল। স্বাভাবিক ভাবেই বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীদের পক্ষে তারেক শাহ শেখর দাস, খোকন ও তার দলবলকে বিবাদী করে বিএমপি’র কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে তার অনুলিপি প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করেছিলেন। তারই পরিপেক্ষিতে প্রাথমিক তদন্ত শেষে গত ১৩’ই এপ্রিল পেনাল কোড-১৮৮০ এর ১৪৩/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/১০৯ ধারায় অভিযুক্ত শেখর দাস,খোকন ওরফে টাক খোকনসহ অজ্ঞাত ১০/১২ জনকে আসামি করে মামলা রুজু করে পুলিশ।তবে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নামধারী কিংবা অজ্ঞাত কোন আসামিই আইনের আওতায় আসেনি।
এদিকে, ভুক্তভোগী একাধিক স্পীড বোট মালিক এবং ড্রাইভার জানান,,এঈ ঘাট দিয়ে কয়েক শত ব্যাক্তি জীবন নির্বাহ হয়। এভাবে অনাবরত চাঁদা দাবী করলে এক পর্যায়ে ঘাট বন্ধ হয়ে যাবার ঝুকি রয়েছে। তারা আরও জানান, বর্তমান পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এবং সদর আসনের সাংসদ জাহিদ ফারুক শামিম এবং বিসিসি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাত যেখানে কোন ধরনের চাঁদা আদায়ের ব্যাপার জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছেন, সেখানে কিসের ক্ষমতায় প্রকাশ্যে যাঁদা চাবী করছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা মন্ত্রী এবং মেয়রের কছে এই চাঁদাবাজদের দমন করে চাঁদাবাজমুক্ত নগরী গড়ে তোলার দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায়, স্পীড বোট বন্ধ করে দেয়া ব্যাতিত আমাদের সামনে কোন পথ খোলা থাকবে না। আসামিদের আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আরিচুল হক বলেন,অপরাধ করে কেউ ছাড় পারে না। সকল অপরাধীকেই আইনের আওতায় আসতে হবে।
Leave a Reply