বৃহস্পতিবার মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর টোল প্লাজা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পদ্মা সেতু জাতির সম্পদ। এই সম্পদ সুশৃঙ্খলভাবে ব্যবহার করা প্রত্যেক নাগরিকের অবশ্যই করণীয় কর্তব্য। যদি পদ্মা সেতুতে চলাচলে অন্যান্য যানবাহন চলাচলের সংকট হয়, কোনো কারণে অচলাবস্থা হয়- কারও অপব্যবহারের জন্য অথবা কারও নিয়ম-নীতি না মেনে চলার জন্য, পদ্মা সেতু আবারও বাইক চলাচলের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যেতে পারে।
আজ থেকে পদ্মা সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরুর প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, সকাল থেকে যে শৃঙ্খলাবোধের পরিচয় আমাদের বাইকাররা দিচ্ছেন, তাতে আমরা সবাই খুশি। আমি আশা করি, এই ধারা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, আজ ভোর রাত থেকেই মোটরসাইকেল আরোহীদের ঢল নামে মাওয়া টোলপ্লাজা প্রান্তে। নির্দিষ্ট লেনসহ মাওয়া টোল প্লাজার দুইটি বুথ দিয়ে আদায় করা হচ্ছে টোল। দীর্ঘদিন পর সেতুতে মোটরসাইকেল চলাচল শুরু হওয়ায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে তারা। এসময় একে অন্যকে নিয়ম মানার বিষয়ে উৎসাহ দেয়ার চিত্র দেখা যায়।
সেতু বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. ভিখারুদ্দৌলা চৌধুরী বলেন, ‘মোটরসাইকেলের টোল আদায়ে একটি কাউন্টার ব্যবহারের কথা থাকলেও বাড়তি চাপের কারণে দুটি কাউন্টার দিয়ে টোল আদায় করা হচ্ছে। প্রতি মিনিটে দুটি কাউন্টার দিয়ে ২৫-৩০টি মোটরসাইকেল সার্ভিস এরিয়া লেন দিয়ে পদ্মা পার হচ্ছে।’
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ রজ্জব আলী বলেন, ‘সর্বশেষ আড়াই ঘণ্টায় প্রায় তিন হাজার মোটরসাইকেল আরোহী মাওয়া টোল প্লাজা অতিক্রম করে। এখন পর্যন্ত মোটরসাইকেল আরোহীরা নিয়ম মেনে পারাপার হচ্ছে।’
Leave a Reply