আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষক দল এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘কিছু হলেই খোঁজেন বিএনপি আগুন ধরিয়ে দিচ্ছে। অথচ নিউ সুপার মার্কেটে আগুন কীভাবে লেগেছে ব্যবসায়ীরা বলেছেন। সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে সিটি করপোরেশনের লোকজন সিঁড়ি ভাঙ্গার কাজ করছিল। যখন তারা ড্রিলের তার লাগাতে গেছে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগে। সিটি করপোরেশনের লোকজন আগুন নেভাতে চেষ্টা করেছিলেন। উদোরপিণ্ডি বুদর ঘাড়ে চাপাতে চান। অগ্নিকাণ্ডের জন্য সম্পূর্ণ দায় সরকারের।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গণবিরোধী। আর সহ্য করা হবে না। সরকারকে সরাতে হবে। সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশের ক্ষতি হবে।’
বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সবাই একজোট হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপি ক্ষমতায় যেতে নয়, মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে এই আন্দোলন করছে।’
তিনি আরও বলেন, কোনো গ্রেপ্তার মামলা দিয়ে এবার আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বিজয় অর্জন করা হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি আদায় করে নির্বাচন দিতে হবে।
সমাবেশে সারের দাম বাড়িয়ে সরকার কৃষকদের প্রতি চরম অবহেলা করেছে বলেও মন্তব্য করেছেন মির্জা ফখরুল। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখনো সময় আছে সারের দাম কমান, ধানের দাম বাড়ান। অন্যথায় জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
পল্ট্রি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মাঝারি ও ক্ষুদ্র কৃষক পথে বসে গেছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পল্ট্রির সঙ্গে জড়িত বড়রা আরও বড় হচ্ছে, অন্যদিকে মাঝারি ও ক্ষুদ্র পর্যায়ের কৃষক ধ্বংস হয়ে গেছে। বড় বড় ফার্মগুলো এমনভাবে দাম ঠিক করে ক্ষুদ্র ও মাঝারিদের টিকে থাকা সম্ভব নয়। যে উৎপাদন করে তাদের চিন্তা না করে সরকারের মদদ পুষ্ট লোকদের স্বার্থ দেখছে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
কৃষক দল সভাপতি হাসান জাফির তুহিনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিনু, কৃষক দল নেতা এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ অংশ নেন।
Leave a Reply