নিহতরা হলেন- বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চোমরা গ্রামের আবুল হোসেন মিনার ছেলে মো. ইয়াসিন মিনা (১৪), কচুয়া উপজেলার আল আমিন মল্লিকের ছেলে মো. শাহিন মল্লিক (১৮) ও কচুয়া উপজেলার মো. বাদশা (১৮), কচুয়া উপজেলার মো. শাহিন মোল্লা (১৯), মো. ছাব্বির হোসেন (১৭)। এছাড়া পৃথক আরেকটি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন পিরোজপুর পৌরসভার কেষ্ট নগর এলাকার মোয়াজ্জেল হাজীর ছেলে মনিরুল জামান (৫৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিকেলে ১৮ জন ক্যাটারিংকর্মী নসিমনে করে বাগেরহাট থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। পথে সদর উপজেলার শংকরপাশা গ্রামের মঠবাড়িয়া থেকে ঢাকাগামী গ্রামীণ পরিবহনের (ঢাকা মেট্রো ব ১৫৩৩৭৫) একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা নসিমনটিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই বাদশা ও শাহীন মারা যায়। হাসপাতালে নেয়ার পর ইয়াসিন মারা যান। খুলনায় নেওয়ার পর শাহীন ও ছাব্বির নামের আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত সিরাজুল ইসলাম শিমুল জানান, আমরা বাগেরহাটের কচুয়া থেকে পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় ক্যাটারিং সার্ভিস (খাবার পরিবেশন) দেয়ার জন্য যাচ্ছিলাম। পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা এলাকায় এলে ডান পাশের চাকাটি ফেটে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিপরীত দিক দিয়ে আসা একটি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থলেই শাহিন মল্লিক ও বাদশার মৃত্যু হয়। জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে ইয়াসিনও মারা যায়। আহত অবস্থায় শাহীন ও ছাব্বিরকে খুলনা পাঠানো হলে সেখানে তাদেরও মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি।
পিরোজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার মো. সোহেল বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে খুলনা পাঠিয়েছি। দুজন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন এবং একজন হাসপাতালে আনার পর মারা গেছেন। অন্য ২ জনকে হাসপাতাল থেকে খুলনায় পাঠানো হয়েছে।
পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ওসি আ. জা. মো. মাসুদুজ্জামান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে দুইজন মারা গেছে। ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বাস চালককে আটকের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply