রায় ঘোষণার আগে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, আজ ১ ফেব্রুয়ারি। ভাষার মাস আজ থেকে শুরু। ভাষা শহীদদের আত্মার প্রতি সম্মান জানিয়ে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রতি সম্মান জানিয়ে আজকের প্রথম রায়টি বাংলায় ঘোষণা করছি। বিশ্বের সব বাংলা ভাষাভাষিদের প্রতি সম্মান জানিয়ে বাংলায় এ রায় ঘোষণা করছি।
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত ও রিটের পক্ষে অ্যাডভোকেট মো. শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী শরিফুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের মামলাটি অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা। আদালত রুল নিষ্পত্তি করে অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আদালত বাংলায় দেওয়া রায়ে বলেন, আলোচনা ও আইনজীবীর যুক্তিতর্ক পর্যালোচনান্তে আমরা অত্র মোকদ্দমার গুণাগুণ পর্যালোচনায় প্রবেশ না করে অত্র রুলটি নিম্নলিখিত নির্দেশনাসহ নিষ্পত্তি করতে সম্মত হই।
নির্দেশনাগুলো হলো
(ক) দরখাস্তকারী অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে পারবেন।
(খ) দরখাস্তকারী অর্পিত সম্পত্তি আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করতে চাইলে অত্র আদেশ হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে আপিল দায়ের করতে হবে।
(গ) অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে তামাদি মার্জনীয় হবে।
(ঘ) নিম্ন অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যার্পণ ট্রাইব্যুনালে আদেশ আপিল দায়ের পর্যন্ত স্থগিত থাকবে।
পক্ষগণ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দখলের বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। রিট মামলা নিষ্পত্তি করা হলো।
Leave a Reply