অনলাইন ডেস্ক: বরিশাল-ঝালকাঠি সড়কের কালিজিরা ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শওকত হোসেন হিরনের সরকার কর্তৃক লিজকৃত জমির গাছ চুরি করেছেন বরিশাল মহানগরের ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা সোলায়মান বাপ্পি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য, প্রয়াত শওকত হোসেন হিরন এর সরকার কর্তৃক নলছিটি থানাধীন ২নং মগড় ইউনিয়নের রায়াপুর সাকিনস্থ বরিশাল-ঝালকাঠি সড়কের কালিজিরা ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বের জমিতে বিভিন্ন প্রজাতির গাছের বাগান রয়েছে। উক্ত বাগান সহ তাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একই এলাকার ফিরোজ আকনের ছেলে চাঁন আকন ও মৃত আঃ ছত্তার মিয়ার ছেলে মোঃ নাজমুর রহমান দেখাশুনা করিত। বরিশাল মহানগরের ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা সোলায়মান বাপ্পিসহ সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন যাবত উক্ত লিজকৃত জমির মধ্যে রোপনকৃত গাছ কাটিয়া নেওয়ার পায়তারা করিয়া আসিতেছিল।
তারই ধারাবাহিকতা গত ইং ০৩/০১/২০২৩ তারিখ রাত্র অনুমান ১১:০০ ঘটিকার সময় সোলায়মান বাপ্পিসহ সংঘবদ্ধ চক্র কুড়াল, সাবল, দা ইত্যাদি নিয়া বে-আইনী জনতাবদ্ধে নলছিটি থানাধীন ২নং মগড় ইউনিয়নের রায়াপুর সার্কিনছ বরিশাল টু ঝালকাঠি সড়কের কালিজিরা ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে মৃত শওকত হোসেন হিরন (সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য) এর সরকার কর্তৃক লিজকৃত জমির মধ্যে অনধিকার প্রবেশ করিয়া গাছ কাটা শুরু করে। একই এলাকার ফিরোজ আকনের ছেলে চাঁন আকন ও মৃত আঃ ছত্তার মিয়ার ছেলে মোঃ নাজমুর রহমান লোকমুখে সংবাদ পাইয়া দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হইয়া গাছ কাটতে বাধা প্রদান করেন।
উক্ত সময় সোলায়মান বাপ্পিসহ সংঘবদ্ধ চক্র ফিরোজ আকনের ছেলে চাঁন আকন ও মৃত আঃ ছত্তার মিয়ার ছেলে মোঃ নাজমুর রহমানকে লাঠি সোটা দিয়া এলোপাথারী মারপিট করিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে নিলা ফুলা জখম করে। তারা ২৫টি মেহেগুনি, ও ০৬টি চাম্বল গাছ কাটিয়া ফেলে ও কুড়াল ও দা দেখাইয়া ভয়ভীতি হুমকি প্রদান করিয়া কর্তনকৃত অধিকাংশ গাছ, যাহার অনুমান ৮০,০০০/- হাজার টাকা চুরি করিয়া ট্রলার যোগে নিয়া যায় এবং ৩৮,০০০/- টাকার মেহেগুনি ও চাম্বল গাছ কাটিয়া ক্ষতিসাধন করে। এবিষয়ে অভিযুক্ত বরিশাল মহানগরের ২৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত নেতা সোলায়মান বাপ্পি জানান, আমি কোন গাছ কাটি নাই, কিছু জানি না। ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ওসি জানান, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
Leave a Reply