জানা যায়, গত ১৮ আগস্ট বঙ্গোপসগারে মাছ ধরতে গিয়ে সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়েন বাংলাদেশের অনেক জেলে। সমুদ্রে ভেসে যাওয়া মৎস্যজীবীদের উদ্ধার করেন ভারতীয় জেলে ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। সেসময় ৯০ জনকে উদ্ধার করলেও একজনের মৃত্যু হয় পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবাল হাসপাতালে।
আটকদের মধ্যে ২৩ জনের নাগরিকত্ব নিশ্চিত হওয়ার পর কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার তাদের দেশে পাঠানোর উদ্যোগ নেন। এদের মধ্যে বাগেরহাটের ১ জন, চাঁদপুরের ১ জন ও ২১ জন ভোলা জেলার বাসিন্দা। এর আগে একইভাবে ট্রাভেল ভিসায় এসেছিলেন ৬৭ জেলে।
কলকাতায় নিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনার মারেফাত তারিকুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশি ২৩জন মৎস্যজীবী কাকদ্বীপ বুদ্ধপুর ফ্লাড সেন্টারের নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন। শুক্রবার রাতে তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ভারত সরকারের বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত আসা বাংলাদেশি জেলেদের ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে রাইটস যশোর ১১ জন এবং ১২ জনকে জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার নামের দুটি এনজিও সংস্থা গ্রহণ করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মুহিত হোসেন বলেন, ফেরত আসা জেলেদের বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করে যশোর জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার ও রাইটস যশোর। শুক্রবার রাতে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
Leave a Reply