ডেস্ক রিপোর্ট // ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে বরিশাল নগরের সব সড়ক পানির নিচে চলে গেছে। টানা প্রবল বর্ষণ, উঁচু জোয়ারের পাশাপাশি দিনভর ঝোড়ো বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে জীবনযাত্রা। রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করছে না। অনেক নিচু এলাকার বসতবাড়িতে পানি ঢুকেছে।
বরিশাল আবহাওয়া বিভাগের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক প্রণব কুমার বলেন, ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে ২৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টিপাত আরও দুই দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এর প্রভাবে চর ও নিম্নাঞ্চলগুলো স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ-আট ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ঘুরে দেখা গেছে, সদর রোড, আগরপুর রোড, গোরস্থান রোড, কালুশাহ সড়ক, বটতলা, হাতেম আলী চৌমাথা, বাংলাবাজার, কলেজ অ্যাভিনিউ, কলেজ রো, ফকিরবাড়ি, কালীবাড়ি, রাজাবাহাদুর, ব্রাউন কম্পাউন্ড, পলিটেকনিক সড়ক, বাংলাবাজার, আমানতগঞ্জ, পলাশপুরসহ নগরের সব সড়কই পানিতে নিমজ্জিত।
এ ছাড়া, চৌমাথা, আলী চৌমাথা, রূপাতলী হাউজিং, দপদপিয়া, পলাশপুরসহ নগরের পশ্চিমাংশের বিশাল এলাকায় বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব এলাকার মানুষজনের ঘর থেকে বেরোনোই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। বৃষ্টিপাতের পানির কারণে শ্রমজীবী মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
সোমবার ভোররাত থেকে একটানা মাঝারি ও ভারি বর্ষণে নগরের অধিকাংশ রাস্তাঘাটে হাঁটুপানি জমেছে। টানা প্রবল বর্ষণ, উঁচু জোয়ারের পাশাপাশি দিনভর ঝোড়ো বাতাসে স্থবির হয়ে পড়েছে বরিশাল নগরের জীবনযাত্রা। রবিবার রাত থেকে বরিশালে বৈরী আবহাওয়া এবং থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়।
সোমবার ভোর থেকে মাঝারি এবং দুপুরের পর তাতে আরও গতি পেয়ে ভারি বর্ষণ হচ্ছে। এর সঙ্গে নদ-নদীতে অধিক উচ্চতার জোয়ারের কারণে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। এদিকে দক্ষিণ উপকূলের নদ-নদীতে উঁচু জোয়ার বইছে। সব নদীতে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
Leave a Reply