নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশার সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার ও রোড ইন্সপেক্টর এর নাম ভাঙ্গিয়ে অনুমতি ছাড়াই দখলকৃত জমিতে নির্মান করা হচ্ছে ভবন। এমন অভিযোগ উঠেছে বরিশাল নগরীর ২৪নং ওয়ার্ড লালার দিঘির পাড় এলাকার খান বাড়ীর বাসিন্দা মামুন খানের বিরুদ্ধে। এছাড়াও জমির মালিক বিধবা শাহিদা বেগমকে মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকিও দেয় মামুন খান। মামুন খানের অত্যাচার থেকে রেহাই পেতে ইতোমধ্যে সাহিদা বেগম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বিসিসি থেকে প্লান অনুমোদ না করিয়ে কিভাবে ভবন নির্মন করা হচ্ছে জানতে চাইলে মামুন খান বলেন, আমি সিটি কর্পোরেশন থেকে অনুমতি নিয়েছি। তবে তিনি কোন অনুমতি পত্র বা বাড়ির প্লান দেখাতে পারেন না। পরে আবার বলেন, সিটি কর্পোরেশনের ইঞ্জিনিয়ার মোতালেব হোসেন তাদের আত্নীয় তাই তিনি মৌখিক ভাবে ভবন নির্মানের অনুমতি দিয়েছে। এটা ওই ওয়ার্ডের রোড ইন্সপেক্টর আতিক হোসেনও জানে। এ বিষয়ে বিসিসির প্রকৌশলী মোতালেব হোসেন বলেন, মামুন খানকে আমি চিনি না। আর মৌখিক কোন অনুমতি দেয়া যায় না। ২৪নং ওয়ার্ড রোড ইন্সপেক্টর আতিক হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এমনকি মামুন খানকে আমি চিনিও না। তিনি আরো বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরির্দশন করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো। বিসিসির কর্মতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এমন অপকর্মের বিষয়ে বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো: ফারুক হোসেন বলেন, বিসিসির কোন কর্মকর্তার নাম ভাঙ্গিয়ে প্লান ছাড়া ভবন নির্মান একটি দন্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি তদন্ত করে শিগ্রই দোষিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অপরদিকে অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নগরীর ২৪নং ওয়ার্ড রুপাতলী লালার দিঘির পার এলাকার খান বাড়ির বাসিন্দা লতিফ খানের ছেলে মামুন খান দীর্ঘদিন যাবত একই এলাকার বাসিন্দা মৃত মালেক খানের বিধবা স্ত্রী সাহিদা বেগমের জমি দখলের চেষ্টা করে আসছিল। সম্প্রতি মামুন জোর পূর্বক বিরোধপূর্ন ঐ জমিতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের কোন অনুমতি ছাড়াই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করে। জমি না মেপে ভবন নির্মাণ না করার জন্য একাধিকবার অনুরোধ জানানোয় বিধবা সাহিদা বেগম ও তার প্রতিবন্ধী ছেলে সালেক। কিন্ত মামুন তাদের এ অনুরোধে কোন কর্নপাত না করে ক্ষমতা দেখিয়ে ভবন নির্মান কাজ অব্যহত রাখে। এর পরে সাহিদা বেগম কোন উপায় না পেয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কাছে গিয়ে অভিযোগ জানায়। এতে মামুন ক্ষিপ্ত হয়ে সাহিদা ও তার ছেলেদের মাদক দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। পরে সাহিদা বেগমের ভাসুর আব্দুল বারেক খানের ছেলে জুয়েল খানকে জমি মেপে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। কিন্তু সেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে জানা যায়। হঠাৎ গত ২৬ জুন ২০২২ তারিখ রাত ৯টার দিকে মামুন খানের স্ত্রী বিনা বেগম অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে ও তার ছেলে অনন্ত দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপরে হামলা করতে পাঠায়। তখন অনন্ত হুমকি দিয়ে তাদেরকে বলে আমাদের কাউকে বাড়ির আশেপাশে দেখলে কুপিয়ে মেরে ফেলবে।
Leave a Reply