শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে নগরের উপশহর এলাকার ই ব্লকের একটি মেস থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ ধারণা করছে, কামরুজ্জামানের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।
পুলিশ জানান, কামরুজ্জামান কামরুল উপশহরের একটি মেসে থেকে ল কলেজে পড়াশোনা করতেন। তার বাড়ি মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার বর্নি মনারাই গ্রামে।
মেসের অন্য সদস্যরা জানান, শুক্রবার রাতে সাহ্রি খাওয়ার সময়ও কামরুজ্জামান স্বাভাবিক ছিলেন। গতকাল দুপুরে তার কক্ষে গিয়ে দেখা যায় তার মুখে প্রচুর লালা। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সব প্রক্রিয়া শেষ করে গতকাল রাত ১০টার দিকে কামরুজ্জামানের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
সিলেট মহানগরের শাহপরান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য বলেন, প্রাথমিকভাবে এটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মনে হচ্ছে। তাই এ ঘটনায় শনিবার রাতে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এরপরও যদি নিহত ব্যক্তির পরিবার অভিযোগ করে, তবে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলেও বিষয়টি পরিষ্কার হবে।
ছাত্রদল নেতা কামরুজ্জামানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সিলেট মহানগর বিএনপি।
Leave a Reply