অনলাইন ডেস্কঃ উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়ে একটি অসহায় পরিবারকে জমি থেকে উৎখাতের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে একই পরিবারের ৮ জনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখমের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
এ সময় তারা হামলা চালিয়ে ঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাট চালায় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গত (৩১ ডিসেম্বর)শনিবার সকাল ৯ টায় মানিককাঠি গ্রামের ফকির বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম তার স্ত্রী মরিয়ম বেগম ছেলে মোস্তফা ফকির মাইনুল ফকির মিজান ফকির মেয়ে মাকসুদা বেগম নাতনি সোনিয়া আক্তার ও হাফসা। বর্তমানে তারা শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত মাকসুদা অভিযোগে জানান, আমাদের ভিটাবাড়ির ৪৭ শতাংশ পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে দীর্ঘদিন ধরে উৎখাতের পায়তারা করে আসছে আমার চাচাতো ভাই আজিজ ফকিরের ছেলে কাওসার ফকির,লিটন ফকির,রাজু ফকির ও গিয়াস ফকির। তারই সূত্র ধরে ঘটনার দুই দিন পূর্বে(২৯ ডিসেম্বর) বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় তাদের ভিটা বাড়িতে ঘর উঠাই । এ সংবাদ পেয়ে ওই দিন রাতে প্রতিপক্ষরা তাদের ভিটা বাড়ির ঘর ভাঙচুর করে।
বিষয়টি আমি ও আমার পরিবার জানতে পেরে পরেরদিন সকালে উজিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। ঘটনার সত্যতা তদন্তের জন্য থানার দায়িত্বরত এসআই আলামিন ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।
দুপক্ষকে থানায় দেখা করতে বলে। কিন্তু প্রতিপক্ষরা থানায় যাওয়া নিয়ে টালবাহানা করে। পরে ঘটনার দিন সকালে আমি আমার বাবা রহিম ফকির মা মরিয়ম ভাই মোস্তফা মাইনুল মিজান মেয়ে সোনিয়া ও হাফসা তাদের বসত বাড়িতে বসে থানায় যাওয়া নিয়ে পরামর্শ করতে থাকে।
এ সময় কাওসার লিটন রাজু গিয়াস ও তার বাবা আজিজ ও তাদের সহযোগী মান্নান খান, আমানুল্লাহ লাভলু ও সেলিম মল্লিক সহ কয়েকজন পরিকল্পিতভাবে আমাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি সোটা এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।
জানাযায়, বিষয়টি এস আই আল আমিনের মোবাইল ফোনে জানালে সে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশ আহতদেরকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আহতদের মধ্যে মাকসুদা,মোস্তফা, মাইনুল ও মিজানের অবস্থার অবনতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।
মাকসুদা অভিযোগে আরো জানান, গত ১৬ বছর আগে প্রতিপক্ষরা আমার স্বামী সিদ্দিককে মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে খুন রকমের ভয় ভীতি দেখানোর ফলে সে আমাদের এলাকা থেকে পালিয়ে যায় এবং ১৬ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে।
আমার ১৬ বছরের মেয়ে ১৬ বছর ধরে বাবার ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। এ এছাড়াও আমানুল্লাহ লাভলু হত্যা মামলার আসামি ব্যাপারে উজিরপুর থানার এসআই আল আমিনের সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, বাদী পক্ষ থানায় অভিযোগ করলে ঘটনার সত্যতা তদন্তের জন্য আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই এবং ঘটনার সত্যতা খুঁজে পাই।
তাই দুই পক্ষকে ওই দিন সন্ধ্যায় থানায় হাজির হতে বলেছি কিন্তু বাদী পক্ষরা ওই দিন থানায় আসতে রাজি থাকলেও প্রতিপক্ষরা পরের দিন সাক্ষাৎ করবে জানান। পরের দিন সকালে বাদী পক্ষের উপর হামলা চালায়।
Leave a Reply