1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০১:১৫ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।

বরিশালে বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মাণ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ১৭ মার্চ, ২০২২
  • ৭১ 0 বার সংবাদি দেখেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশাল নগরীর চাঁদমারীতে বিদ্যুৎ সাবস্টেশন নির্মাণ কাজে অনিয়মে অভিযোগ উঠেছে। শত কোটি টাকার প্রকল্পে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছেন ঠিকাদার।

 

প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ারের সামনেই এমন অনিয়ম হলেও প্রতিরোধ করছেন না তিনি। বরং নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রীকে মানসম্মত বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে সরকারের উন্নয়ন কাজে কোন প্রকার অনিয়মের সুযোগ দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানির প্রধান প্রকৌশলী আবু হাসান। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘বরিশাল নগরবাসীকে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের সেবা দিতে নগরীর চাঁদমারী, কাউনিয়া বিসিক এবং নবগ্রাম রোডে পৃথক তিনটি ৩৩/১১ কেভি সাবস্টেশন নির্মাণ কাজ করছে সরকার। এরি মধ্যে চাঁদমারী ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-১ চত্বরে সাবস্টেশনের কাজ এরি মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

 

আগামী দু-এক মাসের মধ্যে বিসিক এর সাবস্টেশনের কাজও শেষ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা। এদিকে, নগরীর চাঁদমারীতে বিদ্যুতের সাবস্টেশনের নির্মাণ শেষে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে অনেক আগেই। বর্তমানে সেখানে চলছে সিভিল ওয়ার্কিং। অর্থাৎ সীমানা প্রাচীর এবং রাস্তাসহ আনুসঙ্গীক কাজ চলছে।

 

আর এই কাজেই অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং অন্যান্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তাদের দাবি সীমনা প্রচীর এবং আরসিসি সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এমনকি অভিযোগের সত্যতাও মিলেছে সরেজমিন পরিদর্শনে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ‘নির্মাণ প্রকল্প এলাকার পৃথক স্থানে সাজিয়ে রাখা হয়েছে মুন ব্রিক্সের ইট। ইটগুলো দেখলেই মনে হবে নিম্নমানের। প্রতিটি ইট হলু হয়ে আছে।

 

পানি দিয়ে ভিজিয়ে ইটগুলোতে লাল রং ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন শ্রমিকরা। সেই ইটই আবার সীমানা প্রচীর নির্মাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। অপরদিকে, রডের স্তুপ করে রাখা হয়েছে প্রকল্প এলাকায়। সব রডই মরিচা ধরে খয়ে গেছে। পাশেই মরিচা ধরা রডে প্রকাশেই ব্যবহার করা হচ্ছে রেড অক্সসাইড রং।

 

নিয়ম অনুযায়ী ব্যবহারের পূর্বে রেড অক্সাইড রং ঘষে তুলে ফেলতে হবে। কিন্তু সেটা না করেই সীমানা প্রাচীর এবং পার্শ্ববর্তী রাস্তা নির্মাণে রেড অক্সাইড মাখা রডগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে। ফলে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে নির্মানাধীন সীমানা প্রচীর এবং রাস্তার স্থায়িত্ব কতদিন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে শত কোটি টাকার বিদ্যুতের সাব- স্টেশন নির্মাণের কাজ করছে ভারতের ‘এল অ্যান্ড টি’ নামক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। তারাই প্রকল্পের স্থানীয় কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

 

অভিযোগ সম্পর্কে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করা হয় ভারতীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী অনিমেশ সিনহার সাথে। অনিয়মের ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বিষয়টি এড়িয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান। কিন্তু এর পর থেকেই অনিমেশ সিনহার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে কাজে অনিয়মের বিষয়টি

 

 

নিয়ে কথা হয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র প্রজেক্টের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু দাদ্দার সাথে। তিনি অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘কাজ মানসম্মতভাবেই হচ্ছে। নির্মাণসামগ্রী সবই মানসম্পন্ন। এখানো কোন অনিয়ম হচ্ছে না। তাছাড়া মরিচা ধরা রডে রেড অক্সাইড ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রডগুলো বাইরে রাখা ছিলো বিধায় মরিচা ধরেছে। তাই সেগুলোতে রেড অক্সাইড রং লাগিয়ে সীমনা প্রাচীরে ব্যবহার করা হচ্ছে। এটা দিলে রডের স্থায়ীত্ব বেশি হয়। তবে নির্বাহী প্রকৌশলী আবু দাদ্দার বক্তব্য ভুল দাবি করেছেন বরিশাল গণপূর্ত বিভাগের সিভিল ইঞ্জিনিয়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. তুজাম্মেল হক।

 

 

তিনি বলেন, ‘রডে রেড অক্সাইডের ব্যবহারের নিয়ম আছে। তবে সেটা ব্যবহারের কিছু নিয়ম আছে। রডে যাতে মরিনা না ধরে সে জন্য রেড অক্সাইড ব্যবহার করতে হয়। তবে নির্মাণ কাজে ব্যবহারের পূর্বে সেই রং আবার তুলে ফেলতে হবে। তাছাড়া রেড অক্সাইড রং দেয়া রড সরাসরি সীমানা প্রচীর বা ভেতরের অংশে ব্যবহারের কোন সুযোগ নেই। এদিকে, কাজে অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে কথা হয় প্রকল্প পরিচালক (পিডি) মো. আরিফুর রহমান এর সাথে। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি আমে আগেই শুনেছি। এ নিয়ে নিয়ে আমি কাজের দায়িত্ব থাকা নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেছি।

 

 

সে দাবি করেছে কাজ মানসম্মতই হচ্ছে। তবে নির্মাণ সামগ্রীর মান নিয়ে সুনির্দিষ্টভাবে কোন অভিযোগ থাকলে সে বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরদিকে, ‘ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্টিবিউশন কোম্পানি (খুলনা-বরিশাল) এর প্রধান প্রকৌশলী আবু হাসান বলেন, ‘কাজের মান কেমন হচ্ছে সেটা দেখার দায়িত্বে পিডি এবং নির্বাহী প্রকৌশলী রয়েছেন। তারাই বিষয়টি সরাসরি তদারকি করছেন। তবে ভালোভাবে কাজ না করার কোন সুযোগ নেই। অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ‘মরিচা ধরা রোধে রডে রেড অক্সাইড ব্যবহারের নিয়ম রয়েছে। তবে সেটা সরাসরি ব্যবহারের নিময় নেই। তাই অনিয়মের বিষয়টি নিয়ে তিনি প্রকল্পের পরিচালক এবং নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন ওজোপাডিকো’র এই শীর্ষ কর্মকর্তা

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ