নিজস্ব প্রতিবেদক :: বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেছেন, বরিশালে সম্প্রতি এত বড় গন্ডগোল হয়েছে আমি কিন্ত কোনো প্রতিবাদ করিনি। আমি যদি প্রতিবাদ করতে যেতাম তাহলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো কস্ট পেতো। আমি যদি ফোর্স করে বলতাম আমার কোনো দাবি নাই আমি শুধু ভিডিও ফুটেজটা দেখতে চাই। আমি প্রেশার দিতে পারতাম যে, আমি ভিডিও ফুটেজ দেখতে চাই। কিন্তু আমি জানি ভিডিও ফুটেজটা দেখলে কী হবে! কারন আমি দেশের ভালো চাই, দলের ভালো চাই, আমি কাউকে ঝামেলায় ফেলতে চাইনি।
প্রধানমন্ত্রীকে কোনো বিব্রতকর পরিস্থিতে ফেলতে চাইনি। আমি চেয়েছি প্রশাসন ও সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা মিলেমিশে শান্তিপূর্ণভাবে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে একত্রিত হয়ে কাজ করবে। কারণ রাজনীতি মানে হচ্ছে সমঝোতা। রাজনীতি মানেই উন্নয়ন। রাজনীতি মানেই মানুষের অধিকার আদায় করা। রাজনীতি মানে এই নয় যে, আমাকে মারধর করছে বলে আমিও মারধর করবো। দুর্গা পূজা উপলক্ষে নগরীর কালীবাড়ি রোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে রোববার (১০ অক্টোবার) বিভিন্ন পূজামন্ডপে চেক বিতরণকালে এসব কথা বলেন তিনি।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) এলাকার ৪৫টি পূজাম-পের প্রতিটিতে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ।
মেয়র সাদিক বলেন, রাজনীতি পেটে ভাত দেয়ার জন্য না। রাজনিতি হচ্ছে অধিকার আদায়ের জন্য। রাজনীতি হচ্ছে একটি আদর্শ। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন সেই আদর্শ ধারন করে আমরা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বরিশালের উন্নয়ন ও রাজনৈতিক কর্মকা- সারা বাংলাদেশের মানুষ ফলো করে। সবাই দেখে যে বরিশালের মেয়র অভিনয় করে নাকি কাজ করে। যাইহোক পরিবর্তন আসবে ইনশাল্লাহ।
মেয়র বলেন,‘এই যে আমি অনুদান দিতেছি, এসব দেখে আরও ১০ জন আমাকে হিংসা করার জন্য যদি দেন তাতে আমি কিন্তু খুশি। এতে প্রতিপক্ষ মনে করব না’।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি রাখাল চন্দ্র দে, সাধারণ সম্পাদক মানিক মুখার্জী, মহানগর সভাপতি তমাল মালাকার, সাধারণ সম্পাদক চঞ্চল দাস পাপ্পা, মৃনাল কান্তি শাহা, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ মো. ফারুক প্রমুখ।
Leave a Reply