নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশাল বিভাগজুড়ে শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের কঠোর তদারকির মধ্য দিয়ে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এসএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, পরীক্ষা শুরুর প্রথম দিন থেকেই প্রতিটি কেন্দ্র মনিটরিং এ ব্যক্তিক্রমী সব পদ্ধতি ও নিজেই অব্যাহত পরিদর্শন করেছেন তিনি। যার ধরুন বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবারে দৃষ্টান্তমুলক কড়া ব্যবস্থাপনায় নগর থেকে তৃণমূলের বিদ্যালয়গুলোতেও যথাযথ নিয়ম মেনে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে । এতে অসাদুপায় অবলম্বন কিংবা অবৈধ সুবিধা পায়নি কোন শিক্ষার্থী। এছাড়া কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরাও শিক্ষাবোর্ডের সহায়তায় শৃঙ্খলা বজায়ে সক্রিয় ছিলেন। অভিভাভবকরা এসবের কৃতিত্ব জুড়ে দিয়েছেন বোর্ড চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. ইউনুস আলী সিদ্দিকীকে। তার নিরলস প্রচেষ্টায় এমন ইতিবাচক কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হয়েছে। এদিকে
পরিদর্শনের অংশ হিসেবে পরীক্ষার শেষের দিনে পুর্বের ন্যায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিদ্যালয়ের কেন্দ্রগুলোতে ছুটে যান তিনি।
সেগুলো হচ্ছে- গৌরনদীর সরিকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়, তালীমুল কুরআন ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা, সরকারি গৌরনদী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গৈলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গৈলা আদর্শ শিশু নিকেতন, আগৈলঝাড়া উপজেলার আগৈলঝাড়া বেগাই হালদার পাবলিক একাডেমী।
তার এ অব্যাহত পরিদর্শন ও কঠোর নজরদারীতে একাধিক অভিভাবক জানান, পরিক্ষা কেন্দ্রগুলো এমনই হওয়া উচিত যেখানে আমাদের সন্তানরা তাদের যোগ্যতা ও মেধা দিয়ে নিজের পরীক্ষা নিজে দিবে। এবারে সেই প্রতিফলন ঘটছে নজরদারির মাধ্যমে। এর মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা তাদের মেধাকে পরিস্ফুটিত করতে পারবে। এসময় অভিভাবকরা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিস্টদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এদিকে শুধু পরিদর্শনই নয়, বিভাগজুড়ে কেন্দ্রগুলো কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে ফোন পাওয়া মাত্রই সাথে সাথে প্রেরণ করা হচ্ছে ভিজিলেন্স টিম। শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যানের তত্ত্বাবধানে পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায়ে গঠন করা হয় প্রায় দুই’ শত জন শিক্ষক নিয়ে ১৬ ভিজিলেন্স টিম। যেখানে শুধু মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরাই নন, যুক্ত আছেন কলেজের সিনিয়র শিক্ষকরাও। কোন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অনিয়ম কিংবা অবৈধ পহ্না অবলম্বনের খবর পাওয়া মাত্রই প্রতিরোধ ও দোষীদের আইনের আওতায় আনতে ছুটে যান সেই ভিজিলেন্স টিমের স্ব স্ব জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সদস্যরা।
একাধিক শিক্ষক জানান, বিগত বছরের তুলনায় কড়া নজরদারির মধ্যে শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছে । বোর্ডের কঠোর নজরদারিতে কোন অবৈধ পহ্নার সুযোগ পায়নি কেউ। এসব ব্যবস্থাপনায় তারা মনে করছেন, শিক্ষাব্যবস্থা একদিকে উন্নীতে দিকে ধাবিত হবে। অন্যদিকে প্রকৃত মেধাবীরা তাদের অর্জনের মধ্য দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধে অগ্রসর ভুমিকা পালন করবে।
Leave a Reply