নিজস্ব প্রতিবেদক
সরকারি কিংবা বেসরকারি যেকোন প্রতিষ্ঠানেরই স্বচ্ছতা ও শৃঙ্খলা নির্ভর করে দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির ওপর। যথাযথ পহ্নায় কার্যক্রম বাস্তবায়নে ওইসব দপ্তরের সেবা যেমন ইতিবাচকভাবে ছড়িয়ে পড়ে তেমনি কার্য সম্পাদনকারী ব্যক্তিরাও বিভিন্ন মহল থেকে কৃতিত্ব অর্জন করেন। আর এতে দেশের ভাবমুর্তি ও উন্নয়নে অগ্রসর ভুমিকা পালন করে সরকারের সেবাও জনকল্যানমুখী হয়। এসবের কৃতিত্বের ভার শুধু ঐ প্রতিষ্ঠান প্রধানই অর্জন করে থাকেন। এমনি একজন ঝালকাঠি নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। তিনি নিজের দুরদর্শীতাকে কাজে লাগিয়ে নিরলস উপজেলাবাসীর জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। এর মাধ্যমেই সর্ব মহলে সমাদৃত হচ্ছেন এই ইউএনও।
জানা গেছে, নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মো. নজরুল ইসলাম ২০২৩ সালের ৭ সেপ্টেম্বর নলছিটিতে যোগদান করার পর থেকে উপজেলায় সরকারি , বেসরকারিসহ সব স্থানে শৃঙ্খলা ফিরেছে। যোগদানের পর সরকারি বেসরকারি অফিস, ব্যাংক, বীমা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন দপ্তর গুলোতে ফিরে পেয়েছে কাজের গতি। উল্লেখিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে তার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ এবং সঠিক দিকনির্দেশনা অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, গত আওয়ামী সরকারের আমলে বহু সড়কের চরম বেহাল অবস্থায় ছিল! প্রতিদিন ঐ সকল সড়ক দিয়ে শতশত যানবহন সহ সাধারণ পথচারীরা যাতায়াত করতো। সড়কগুলো খানাখন্দের কারণে মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ ছিল না। কিন্তু বিগত সরকারের আমলে স্থানীয় জনপ্রতিনিরা সড়কগুলো সংস্কার করতে সক্ষম হয়নি । পৌর প্রশাসক হিসেবে ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম দায়িত্ব নেওয়ার পর তার নিরলস প্রচেষ্টায় ঐ সমস্ত সড়কের সংস্কার কাজ চলমান রয়েছে। শীঘ্রই সড়কের উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত ঘটলে মালবাহী যানবাহন সহ হাজারো মানুষ নির্বিঘ্নে চলাচল থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও নলছিটি উপজেলা পরিষদের সামনের পুকুরটিতে সৌন্দর্য বর্ধন করে চিত্ত বিনোদনের আকর্ষণীয় স্পট তৈরির কাজ ও পৌরসভার সীমানা প্রাচীর ও মূল ফটকের কাজ চলমান রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, একজন সরকারি কর্মকর্তাকে শুক্রবারসহ সরকারি বন্ধের দিনও অফিসে এসে পাওয়া যায় এর চেয়ে বড় সেবা আর কি হতে পারে। উপজেলার যেকোনো সমস্যা তিনি তাৎক্ষণিক সমাধান করার চেষ্টা করেন। এই উপজেলার উন্নয়নে তার মতো কর্মকর্তা আমাদের প্রয়োজন আছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত পৌর প্রশাসকের এমন কর্ম তৎপরতা দেখে এলাকার মানুষ খুবই খুশি। এই মানবিক কর্মকর্তার এমন নিরলস প্রচেষ্টাকে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখছেন উপজেলাবাসী। এছাড়াও পৌর সভার সকল ওয়ার্ডের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে সকলকে পৌর কর পরিশোধের তাগিদ দিয়ে মাইকিং করা হচ্ছে।
আরও জানা গেছে, শুধু পৌরসভা নয়, প্রতিনিয়ত উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কাজের ফাঁকে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের গ্রামাঞ্চলের রীতিমতো খোঁজখবর নিচ্ছেন তিনি। কোথাও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে সাথে সাথে ছুটে যাচ্ছেন ঘটনাস্থলে।বিভিন্ন ক্ষেত্রে আইনগত ব্যবস্থা নিতেও দেখা গেছে তাকে। চলতি সময়ে সরকারি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ অফিসগুলোতে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে সক্ষম হয়েছেন এই প্রশাসনিক কর্মকর্তা। সাম্প্রতিক সময়ে সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে এসএসসি ও সমমান দাখিল পরীক্ষা গ্রহণে তার নেওয়া উদ্যোগ সবার নজর কেড়েছে। পরীক্ষার হলে ফিরেছে সুন্দর পরিবেশ। পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত হয়বৎপুর তৌকাঠি দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক মো. আলিম হোসেন বলেন বিগত ১৫ বছরে এ রকম সম্পূর্ন নকলমুক্ত পরীক্ষা আমি দেখেনি।
এছাড়াও বিগত দিনগুলোতে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে স্বচ্ছতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে নজির সৃষ্টি করেছেন ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম । সাফল্য হিসাবে তার প্রচেষ্টায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম দক্ষতার সাথে পরিচালনা করার মাধ্যমে সম্প্রতি তার সুনাম উপজেলা ব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ ও অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে সাথে নিয়ে নিয়মিত কাজ করতে দেখা গেছে তাকে।
ইউএনও মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ইউএনওর পাশাপাশি পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়ে আমি আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনগনকে হয়রানীমুক্ত সেবা দিতে আমার উপর অর্পিত সকল দায়িত্ব স্বচ্ছতার সাথে করার চেষ্টা করছি। জনস্বার্থ নিশ্চিত করতে তিনি পৌর নাগরিকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, সুধীজন, সাংবাদিক ও সরকারি কর্মকর্তাদের সহযোগিতা চেয়েছেন। একইসাথে সকলকে জনস্বার্থে কাজ করার আহবানও জানান তিনি।
Leave a Reply