নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালে টাকা আদায় কে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মেহেদী সিকদারকে কুপিয়ে এবং ছাত্র দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম হোসেন কে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক আমিনুল ইসলাম মাসুম ওরফে মাসুম মাস্টার ইন্ধনে তার দুই ছেলে এবং সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা তুহিন ও বাদল খান সহ কয়েকজন তাদের আহত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহ মেহেদী । দুপুর ১টার দিকে চরমোনাই বুখাইনগর বাজারে বিচার শালিশ শেষে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা সবাই বরিশাল শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত মেহেদী অভিযোগে জানান, বুখাইনগর বাজারের কনফেকশনারী ব্যবসায়ী রনির কাছ থেকে বাকিতে পন্য নেয় স্থানীয় তুহিন খানের ছেলে তামিম। কিন্তু বাকি টাকা দিতে গড়িমসি করলে রনি স্থানীয় বাজার কমিটির সেক্রেটারি এবং চরমোনাই ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব মাসুম হাওলাদার এর কাছে বিচার দেন। এ নিয়ে বেলা ১২ টার দিকে বিচার শালিশ বসে। বিচারে সাবেক আলীগ নেতা তুহিন খান তার ছেলেকে চর থাপ্পড় দিয়ে ছেলে তামিমকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ায়। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার সময় তামিম কানে কানে রনিকে দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। হুমকি দেয়ার কারণে শালিশদার মেহেদী সিকদার এবং অন্যান্য রা তুহিন খানকে তার ছেলে তামিম কে ফিরিয়ে আনতে বলে।
মেহেদী আরও জানান, তামিম কে আসতে বললেও সে আর আসে নাই। এ নিয়ে তুহিন খানকে চাপ দিলে তুহিন খান ক্ষিপ্ত হয়ে আমার সাথে তর্ক বিতর্কে জড়ায়। সে সময় শামিম ক্ষিপ্ত তুহিন কে সরিয়ে নিলে তুহিনের পক্ষে স্থানীয় পরাজিত মেম্বার চরমোনাই ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক সভাপতির শ্যালক বাদল খান মারধর শুরু করে শামিমকে। পরে বাজার কমিটির সবাই মিলে তাদেরকে মারধর করে ধাওয়া দেয়। ধাওয়া দিলে তারা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাসুম মাস্টারের বাড়িতে প্রবেশ করে সেখান থেকে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাকে কুপিয়ে আহত করে। পরে ঘটনার পর তারা বাদল খানকে পেয়ে তাকেও পিটিয়ে এবং কুপিয়ে আহত করে।
আহত মেহেদী সিকদার আরও জানান, মাসুম মাস্টার বিএনপি হয়ে আলীগের লোক জনকে শেল্টার দেয়। তার নেতৃত্বে তার দুই ছেলে রাফসান, সারাফাত সহ বাদল, তুহিন তাকে মারধর করে বাসা থেকে দা আনে কুপিয়ে আহত করে।
আহত বাদল খান জানান, তুহিন খান তার আত্মীয়। এ জন্য তাকে দেখেই মারধর করে কপিয়ে আহত করে মেহেদী সিকদার। মেহেদী শিকদারকে তুহিন খানের লোকজন মারেনি। নিজেরা নিজেরা মারামারি করে ঘটনা সাজিয়েছে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানান, এই ঘটনায় মেহেদী শিকদারের পরিবারের সবাই থানায় এসেছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply