নিজস্ব প্রতিবেদক
বরিশালে ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি ও দোকান দখলের পায়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সদর উপজেলার রায়পাশা-কড়াপুর ইউনিয়নের বৌষের হাটে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সুলতান আহমেদ চৌধুরীর কন্যা সাথী আক্তার। অভিযুক্তরা হলেন- ঐ এলাকার বাবুল ও বাদশা খান।
সাথী অভিযোগে জানান, ১৯৮৮ সালে কড়াপুর এলাকার আব্দুল মান্নান বেপারীর কাছ থেকে আমার বাবা সুলতান আহমেদ চৌধুরী হাটের মধ্যে ১ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। ঐ সময়ে সদর সাব রেজিষ্ট্রির মাধ্যমে আইনী পদ্ধতিতে মান্নান আমার বাবাকে প্রদান করেন। সেই থেকে ঐ জমিতে দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়ে আসছিলাম।
সাথী জানান, সম্প্রতি এলাকার বাবুল ও বাদশা জমি নিজেদের দাবী করে আমার ভাড়াটিয়া দোকানদারকে উচ্ছেদের জন্য চাপ প্রয়োগ করছেন। একইসাথে মাসিকভাড়া তাদেরকে দিতে বিভিন্ন ধরণের হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। দীর্ঘ বছর যাবত বৈধ পহ্নায়ে আমরা ওই জমিতে দোকান দিয়ে ভাড়া উত্তোলন করে আসছি। হঠাত করেই বাদশা ও বাবুল দু’জনে মিলে দোকান ও জমি অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে। আমাদের জমিতে দোকানটি ভাড়া দিয়েছেন আমার ভাই সবুজ। তাকেও উদ্দেশ্য করে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা।
সাথী আরও জানান, বাবুল ও বাদশাকে আমি চিনিনা। তবে শুনেছি তারা ইউনিয়নের মিন্টু মেম্বরের সহযোগী। তার মদদেই বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে আমাদের দোকান অবৈধভাবে দখলের পায়তারা চালাচ্ছে তারা। এ বিষয়ে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন সাথী।
এদিকে ভাড়াটিয়া দোকানদার ঝন্টু পোদ্দার জানান, সুলতান আহমেদের বড় ছেলে সবুজের কাছ থেকে আমি গত ৭/৮ বছর পুর্বে এখানে দোকান ভাড়া নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। হঠাত করে কয়েকদিন পুর্ব থেকেই বাবুল ও বাদশা আমাকে দোকান ছাড়তে বলেন। এছাড়া দোকান না ছাড়লে তাদের ভাড়া দিতে হবে বলেও জানান তারা। এনিয়ে তারা আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছেন।
এ বিষয়ে জানতে মিন্টুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
এ বিষয়ে বাবুল খান জানান, ঐ জমি আমার বাবার নামে। আমরা দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থাকায় প্রতিপক্ষরা অবৈধভাবে দখল করেছে।
এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: জাকির সিকদার জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply