সাইফুল ইসলাম // বরিশাল মহানগর মহিলাদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগমের সাথে ফ্যাসিস্ট আ’লীগ কর্মীদের গোপন বৈঠকের একটি ভিডিও ইতিমধ্যে সংবাদকর্মীদের হাতে এসেছে।
অনুসন্ধানে মেলে চাঞ্চল্যকর তথ্য, নগরীর ১০ং ওয়ার্ড কেডিসি এলাকার বাসিন্ধা ফরিদা বেগম আ’লীগের কিছু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও নেতাকর্মীদের নিয়ে গোপন বৈঠক করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করা জন্য ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের লোকজনদের সাথে সখ্যতা বজায় রেখে সাধারণ জনগনকে এবং বিএনপির ত্যাগী নেতাদের হেনস্তা ভয়ভীতি ও দেখে নেওয়ার হুমকি প্রদান করে আসছে। ১০ং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জয়নালের নির্বাচনি প্রচারনায় অংশ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। যার ভিডিও চিত্র সংবাদকর্মীদের হাতে।
স্থানীয়রা জানান, বিএনপি কর্মী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে কোনো প্রতিদ্বন্দী রখতে চাইছেননা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম। ‘প্রতিদ্বন্দী রাখবোনা’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ফরিদা বেগম নানা অপকর্ম ও ষরযন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
বিএমপি সমর্থক একাধিক কর্মী জানান, ফরিদা বেগম এর ছত্রছায়ায় থাকা কিছু আ’লীগ কর্মীর দ্বারা বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা কর্মীকে হেনস্তা করেই চলছে। গোপন বৈঠকে ফরিদা বেগমের সাথে দেখা যায় আ’লীগ কর্মী সুমি, বেবি (ওরফে গাজা বেবি), তানিয়া সহ একাধিক কর্মীকে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দলনে ছাত্রদের দমাতে প্রকাশ্যে লাঠিসোটা হাতে মিছিল করা আ’লীগ কর্মীদের নিয়ে হরহামেশাই চলাফেরা করছে ফরিদা বেগম। ৫ই আগস্ট এর ছাত্রআন্দলনে বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া প্রকাশ্যে নেতৃত্ব ও মিছিল দেয়া আ’লীগ কর্মীরাই এখন ফরিদা বেগম এর সহচর।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষ্য দর্শীরা জানান, বিএমপির সভা সমাবেশ শেষ করে মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগম চকবাজারের ঘরোয়া রেস্টুরেন্টে ফ্যাসিস্ট আ’লীগের চিহ্নিত নেতাকর্মীদের সাথে একান্তে সাক্ষাৎ ও গলা জড়িয়ে ধরে কুশল বিনিময় করতে দেখা যায়। মাঠ পর্যায় প্রকাশ্যে যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের দালাল হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের সাথে সখ্যতা রেখে বিএনপির ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে ষরযন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এ যেন সরষের মধ্যে ভুত!
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অন্য একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ১০নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মামুনের মেয়েও একসময়ে ধরেছিলেন নৌকার হাল।৷ যার একাধিক প্রামান সংবাদকর্মীদের হাতে।
তবে এখন নিজেকে বিএনপি কর্মী হিসেবে জাহির কারার নীল নকশা করার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফরিদা বেগমের যত কাজকর্ম এখন এই নব্য বিএনপির কর্মী দেখাশুনো করার গুঞ্জন শোনা যায়। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এই বিতর্কিত কর্মীদের নিয়ে সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করলে দলের ভারসাম্য ও ত্যাগী নেতাদের পরিশ্রম ক্ষুন্ন হবে। এছাড়াও সাংগঠনিক কর্মকান্ড মুখধুবরে পরতে পারে। একজন বিএনপি কর্মী কিভাবে এমন ষরযন্ত্রে লিপ্ত হতে পারে যা দেখে সবাই হতবাক!
সচেতন মহলের দাবি মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ফরিদা বেগমের এমন কর্মকান্ডে সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব সংঠনিক ভাবে ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে এমনটাই আশা ব্যক্ত করেছেন ত্যাগী নেতাকর্মীরা।
ফরিদা বেগম মুঠফোনে জানান, আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি বিএনপির কর্মী। বরিশাল মহানগর মহিলাদলের সভাপতি ফারজানা তিথি জানান, ফরিদা বেগমকে দলে আমি নেইনি। কেন্দ্রীয় পর্যায় যারা আছেন তাদেরকে আমি বিষয়টি অবগত করবো। কেন্দ্র থেকেই ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।
সংগঠন বিরোধী কোনো কাজে যদি কারো জড়িত থাকার প্রমান পাওয়া যায় সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, সংগঠনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অধিকার কারো নাই এবং কোনো ব্যক্তি বিশেষ এর অপকর্মের দ্বায়ভার সংগঠন নেবেনা।
Leave a Reply