কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি // কুয়াকাটায় জেলা পর্যায় নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক জনসচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৯ অক্টোবর বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় কুয়াকাটা পৌরসভার আবাসিক হোটেল গ্রেভার ইনের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কলাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: মনিরুজ্জামান খানের সঞ্চালনায়, কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মো. দিদারুল ইসলাম, সদস্য (যুগ্ম সচিব) বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ও প্রকল্প পরিচালক, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মর্জিনা আক্তার , (উপসচিব) খাদ্য মন্ত্রনালয়, আবু রায়হান , নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা পটুয়াখালী, ডা. মুসলাদ সায়েম পুনম, কুয়াকাটা ২০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, রুমান ইমতিয়াজ তুষার সভাপতি কুয়াকাটা প্রেসক্লাব, মশিউর রহমান কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা , মো:মোতালেফ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক হোটেল মোটেল এ্যাসোসিয়েশন, জসিম উদ্দিন বাবুল ভূইয়া প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মো. হাবিবুল্লাহ খান রাব্বী, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মহিপুর প্রেসক্লাব, মৃনাল চন্দ্র দেবনাথ স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক কলমি মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরান থেকে তেলোয়াত ও অর্থ করেন মাও : মো. নিজাম উদ্দিন , সহকারী শিক্ষক বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গীতা পাঠ করেন নিতাই চন্দ্র পদমন্ডল, সহকারী শিক্ষক, বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়। কর্মশালয় বক্তারা বলেন, নিরাপদ খাদ্য, ভেজাল ও দূষনমুক্ত বিশুদ্ধ ও স্বাস্থ্য সম্মত খাদ্যই নিরাপদ খাদ্য। খাদ্য নিরাপদতা কি? খাদ্য অনিরাপদ হলে কি ক্ষতি হয়। কেন খাদ্য অনিরাপদ হয়। অনুজীবঘটিত খাদ্য দুষনের কারন, যে কোনো পশু জবাই করে চার ঘন্টার পরে গোস্ত ব্যকটেরিয়ায় আক্রমণ করে, এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা করেন। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার ক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৩৫ টি খাবার হোটেলে খাবার পরিবেশন করে থাকে। এ জন্য প্রত্যেকটি হোটেলের খাবার কি ভাবে বিশুদ্ধ ও নিরাপদ রাখা যায় এবং কোন কোন খাবার কতো তাপমাত্রায় রাখতে হয়। সে বিষয়ে ধারণা দেওয়া হয়। নিরাপদ খাদ্য আইন – ২০১৩ সালে প্রণীত হয় এবং বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কাজ করে যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটি বেলা সাড়ে ১১ টায় শুরু হয়ে দুপুর দেড়টায় শেষ হয়। কর্মশালায় অংশ নেন কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার রেস্তোরাঁ, আবাসিক মালিক, ট্যুর অপারেটরস্ (টোয়াক) ট্যুর গাইড, স্টিডফুড ভেন্ডরসহ আবাসিক হোটেলের শতাধিক প্রতিনিধি।
Leave a Reply