নিজস্ব প্রতিবেদক // বহুল আলোচিত, বিতর্কিত বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুবাস নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এখন ওপেন সিক্রেট। তার এমন অপকর্মে অতিষ্ঠ বাবুগঞ্জ বাসী। ফলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, জবেদ আলী খান নামক একব্যাক্তি ও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীরা দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অভিযোগে উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে গোপালগঞ্জের (এ্যাডহক নিয়োগ) প্রাপ্ত বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচ ডাঃ সুভাস সরকার ও প্রধান সহকারি আনোয়ার, ক্যাশিয়ার রফিক
গত ২০/১/২০২০ হইতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসাবে ডা.সুবাস যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অপকর্ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
তাদের তিন জনের যোগসাজে ২০২০-২১ হতে জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ টাকা, হাসপাতাল পরিস্কার বাবদ টাকা, উপজেলায় কমিনিউটি ক্লিনিক গুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দের টাকা, সাধারণ নিরীহ মানুষকে হয়রানি, ক্ষমতার অপব্যবহার, কর্মচারীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ
, করোনা সহায়তার অর্থ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ভাতা উত্তোলন করে আত্মসাৎ, রোগীর টিকিট বিক্রির টাকা নয় ছয়, প্রতিদিন ১৫/২০ জন রোগী হাসপাতালে ভুয়া ভর্তি দেখিয়ে টাকা উত্তোলন, আনুতোষিক ভাতা নয় ছয়।
এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানিক খাতে বিভিন্ন বরাদ্দ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার বিল, কম্পিউটার মেরামত বিল মনোহরি বিল ধোলাই বিল একরকম বিভিন্ন খাতে ভুয়া বিল প্রস্তুত করে অ্যাকাউন্ট অফিসের সাথে যোগাযোগ করো কোন কাজ না করেই কোন ক্ষেত্রে সামান্য কাজ দেখিয়ে বিলের সব টাকা আত্মসাৎ করে। বহী বিভাগের রুগীর টিকিট তিন টাকার স্থলে ৫ টাকা আদায় করে।
তার সঙ্গী হিসাবে রয়েছে প্রধান সহকারী আনোয়ার, ক্যাশিয়ার রফিক ।
হাসপাতালের সরকারি আবাসিক ভবন ভাড়া বিগত ৪ বছর যাবত ক্যাশিয়ার রফিক ও প্রধান সহকারী আনোয়ার কে দিয়ে নগদ টাকা উওোলন করতো।বর্তমান ২০২৪ ইং সালের জুলাই মাসে ২৫% হারে বরাদ্দ প্রদান করেন।যাহা সরকারি বিধি পরিপন্থী।
এতে করে বিপুল পরিমাণ অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন হাসপাতাল এলাকায় নুতুন অবস্থিত ম্যাটস সরকারিভাবে চালু হয় নাই, কিন্তু সে ম্যাটভবন ভাড়া দিয়ে ব্যক্তিগতভাবে এ অর্থ আত্মসাৎ করে আসছেন । এমনকি ওই ভবন সরকারিভাবে চালু না হলেও সরকারি বিদ্যুৎ বিল ৫ লক্ষ টাকার উপরে হয়েছে বলে জানা যায়।
ডাঃ সুবাস সরকার গোপালগঞ্জে বাড়ি হওয়ায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দেখিয়ে বারবার নানা অপকর্ম, অপরাধ করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন তিনি।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সুবাস বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা।
Leave a Reply