1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ১২:৪৭ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
গরুর হাটে গরু বিক্রেতাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ বরিশালে কালচারাল অফিসার ‘অসিত বরণ দাশ’কে’ বিতর্কিত করার চক্রান্ত জিয়াউদ্দিন সিকদারকে বরিশাল মহানগর বাস্তহারা দলের শুভেচ্ছা যাত্রীসেবা নিশ্চিতে কঠোর জিয়াউদ্দিন সিকদার, ভাঁসছেন প্রশংসায়! জিয়াউদ্দিন সিকদারকে নগর বাস্তহারা দলের শুভেচ্ছা বাউফলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইট বাটার শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তলাবিহীন দেশকে স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেন- রহমাতুল্লাহ নগরীর রূপাতলী আজিজিয়া হাউজিংয়ে প্রকৃত মালিককে হয়রানি করে জমি দখলের পায়তারা ‘শহীদ জিয়াই বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্র সংস্কার শুরু করেছিলেন’ জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত বরিশালের হুমায়ুন কবির

বন্ধুর প্রতারণায় নিঃস্ব অষ্ট্রিয়া প্রবাসী, অর্ধকোটি টাকা আত্নসাতে মামলা !

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৯৫ 0 সংবাদ টি পড়েছেন

অনলাইন ডেস্ক

সম্পর্কের সুযোগ নিয়ে বন্ধুও কাল হয়ে ওঠতে পারে জীবনে। আর এতে স্বাভাবিক জীবনে নেমে আসে ঝড়। ফায়দা লুটে স্বার্থন্বেসী ঐসব বন্ধু প্রতারিত করে অপরপ্রান্তের সরল ব্যক্তিকে। প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে একপর্যায়ে সব লুটে নিয়ে নিঃস্ব করে ছেড়ে দেয় হতাশার সাগরে। আর এমনটিই ঘটেছে বরিশালের দুই ভাইয়ের জীবনে। এক বন্ধুর অসাধু হাতছানিতে নিঃস্ব হয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা। ভুক্তভুগী দুই ভাইয়ের মধ্যে একজন অষ্ট্রিয়া প্রবাসী। আর আরেকজন বরিশালের ব্যবসায়ী। উভয়ে সহোদর। ভুক্তভুগীরা হলেন, বরিশাল নগরীর ২৫ নং ওয়ার্ডের মৃত ইছাহাক চৌধুরীর দুই ছেলে সাইদুল ইসলাম ও মুরাদুল ইসলাম। এর মধ্যে মুরাদুল ইসলাম অষ্ট্রিয়ায় পাড়ি জমায় দীর্ঘ ১০ বছর পুর্বে। আর সাইদুল বরিশালেই ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন।

প্রতারণার মাধ্যমে জীবনে সব সম্বল হারিয়ে বিচারের দাবি জানিয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বরিশাল বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভুগী সাইদুল ইসলাম।

অভিযুক্ত বন্ধু হলো, পটুয়াখালীর বাউফলের সাতবাড়ী-রামনগর গ্রামের আবদুস সালাম হাওলাদারের ছেলে মোঃ বশির উদ্দিন। প্রতারণার মাধ্যমে দুই ভাইয়ের থেকে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়েছেন এই প্রতারক বলে মামলা সুত্রে জানা গেছে। দায়েরকৃত মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালত।

দায়েরকৃত মামলায় বাদী মহানগরীর রূপাতলী এলাকার সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করে জানান, আমার ছোট ভাই মুরাদুল বরিশাল পলিটেকনিকে পড়াশুনা করতো। এসময় সহপাঠি পটুয়াখালীর বাউফলের সাতবাড়ী-রামনগর গ্রামের আবদুস সালাম হাওলাদারের ছেলে মোঃ বশির উদ্দিনের সাথে তার বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

পরবর্তীতে মুরাদুল অষ্ট্রিয়া চলে যাওয়ায় বন্ধুত্বের সূত্রে বশির উদ্দিন নানা প্রলোভনে তাদের কাছে টাকা দাবী করে আসছিল। এক পর্যায়ে কুয়াকাটার পাঞ্জুপাড়া এলাকায় পর্যটন হোটেল নির্মানে জমি ক্রয় সহ শরিক হবার জন্য ৯০ লাখ টাকা প্রদানের অনুরোধ করে বিষয়টি নিয়ে নানা আলাপ আলোচনার এক পর্যায়ে ২০২২ সালের ৩ জানুয়ারী স্থানীয় কয়েকজন স্বাক্ষীর উপস্থিতিতে নগদ ২০ লাখ টাকা গ্রহন করে। পরবর্তিতে সোনালী ব্যাংক সিএন্ডবি রোড শাখায় অভিযুক্ত বশিরের ব্যাংক হিসেবে ও তার বিকাস হিসেবে বিভিন্ন সময়ে আরো ২৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা জমা দেন বাদী অষ্ট্রিয়া প্রবাসী মুরাদুল ইসলাম ও তার ভাই সাইদুল ইসলাম।

কিন্তু এরপর কুয়াকাটায় হোটেল নির্মানের জমি দেখতে চাইলে নানা ধরনের টালবাহানা শুরু করে অভিযুক্ত বশির। এক পর্যায়ে কিছু অপরিচিত লোককে কুয়াকাটার জমির মালিকে সাজিয়ে জমি কিনতে হলে পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসকের অনুমতি প্রয়োজন এবং তা সময় সাপেক্ষ বলে টালবাহানা শুরু করে। সর্বশেষ গত ২৩ আগষ্ট বশিরের বাড়ীতে গিয়ে টাকা ফেরত চাইলে সে সবকিছু অস্বীকার করে নানা ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি অস্ট্রিয়া প্রবাসী মুরাদুল ইসলাম দেশে ফিরলে অপহরন করে খুন করারও হুমকি প্রদর্শন করে বলে দায়েকৃত মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বাদীর নিয়োজিত আইনজীবীর আর্জি বিবেচনা করে বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। বরিশাল জজ কোর্টের আইনজীবী মোঃ জসিম উদ্দিন বাদী পক্ষে অর্জি পেস সহ মামলাটি পরিচালনা করছেন। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত বশির উদ্দিনকে একাধিকবার মুঠোফোনে সংযোগের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।

এ-বিষয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) জাকির হোসেন মজুমদার জানান, এখনো কাগজ পৌছায়নি। পেলেই সঠিকভাবে তদন্ত করে সাক্ষ্য ও প্রমাণ উপস্থাপন করে প্রকৃত অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ