অনলাইন ডেস্ক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বৈরাচারি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটায়। এরই সাথে সাথে পরাধীণতা থেকে মুক্ত হয় দেশ ও দেশের মানুষ। দীর্ঘ বছর ধরে আওয়ামী লীগের শোষণ-নিপীড়নের মধ্যে দিয়ে স্বৈরাচার হটিয়ে আরেকবার স্বাধীনতা অর্জন এনে দেয় ছাত্র-জনতা। দেশকে শৃঙ্খলার মধ্য ফেরাতে শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝড়ানো এ অবদান জাতীর কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
তবে এ স্বাধীনতা অর্জনে ভুমিকা রাখতে ব্যর্থ হয় অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। স্বৈরাচারি এ সরকার হটানোর পুর্বে আওয়ামী ঘড়ানার অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের রাজপথে আন্দোলনে অংশ নিতে দেয়নি ঐসব প্রতিষ্ঠানের নিতী-নির্ধারকরা। এমনকি আন্দোলনে নামলে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ করে জানিয়েছেন আন্দোলনে ঐসময়ে অংশ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। আর এমন অভিযোগ উঠেছে কারিগরি উচ্চ ডিগ্রি প্রাপ্ত বরিশালের এক প্রতিষ্ঠান গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান দাবিকরা ইমরান চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীদের দেয়া অভিযোগে জানা গেছে, গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এড.আফজাল হোসেন। সরকার পতনের পুর্বে চলমান আন্দোলনে তার ইশারায় শিক্ষার্থীদের সড়কে নামতে দেয়া হয়নি। প্রতিষ্ঠানের কাছে একাধিকবার আন্দোলনে নামবে এমন অনুমতি চাইলে ইমরান চৌধুরী তাতে বাধা প্রদানের পাশাপাশি রাজপথে গেলে ব্যবস্থা নেয়ারও হুমকি প্রদর্শন করে বলে জানিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী জানান, আমরা স্বৈরাচারি সরকার পতনের আন্দোলনে নামতে চেয়েছিলাম। কিন্ত আমাদের বাধা প্রদান করেছেন চেয়ারম্যান স্যার। তবে বাধা অপেক্ষা করে আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাই।
শিক্ষার্থীরা জানান- আন্দোলনে মুখে পড়ে স্বৈরাচারি সরকারের পতন ঘটলে চেয়ারম্যান স্যার নিজেই আবার নিজের অবস্থান টেকাতে শহীদ ছাত্রদের মাঘফেরাত কামনায় দোয়াও করিয়েছেন।
এমন ঘটনা হতাশা ও ক্ষুব্ধের বিষয়। এদিকে অভিযোগে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আফজালের সাথে ঘনিষ্ঠ সূত্র ধরে ইমরান চৌধুরীসহ কয়েকজন মিলে বরিশালের সিএন্ডবি সড়কে গ্লোবাল ভিলেজ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করেন। ইমরান চৌধুরী সহ অন্যরা মিলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নতির একটা দ্বারপ্রান্তে নেন। অবস্থা উন্নতি হওয়ার পরপরই ইমরান চৌধুরী আ’ লীগ নেতার ছত্রছায়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একক আধিপত্য বিস্তার শুরু করেন। পাশাপাশি অন্য মালিকদের হেনস্তা করতে থাকেন।
এতে করে অন্য সম্মান এর কথা চিন্তা করে ভার্সিটির কার্যক্রম থেকে দূরে রয়েছেন বলে অন্যান্য মালিকরা অভিযোগ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছেন বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশের সাথে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহমত পোশনের সাথে সাথে আন্দোলনে যোগদান করেন। এতে ঐ সময় ইমরান চৌধুরী আন্দোলনে নামতে শিক্ষার্থীদের বাধা প্রদান করেন। বাধা অপেক্ষা করে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চালিয়ে যায়। এ সময় ইমরান চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উপর ক্ষিপ্ত হয়। পাশাপাশি আলীগ ও পুলিশ দিয়ে হয়রানি করার পাশাপাশি হুমকি ধামকি প্রদান করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, ইমরান চৌধুরী আলীগ সরকার সরকারের সময় একটি বই লেখেন যার নাম বাংলাদেশ উন্নয়ন পরিকল্পনা ২০৫০। আর ওই বইটি শেখ হাসিনার পুত্র জয় কে উৎসর্গ করেন। ইমরান চৌধুরীর সাথে এখনো কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আফজালের সাথে যোগাযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে। তার ইশারাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম চলছে। ইমরান চৌধুরীকে তার পদ থেকে অপসারণ না করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয় ও বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা হয়রানির শিকার হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।
এ বিষয়ে জানতে বরিশাল গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোঃকামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে বরিশাল গ্লোবাল ভিলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিদার চেয়ারম্যান ইমরান চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার সংযোগের চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়।
Leave a Reply