নিজস্ব প্রতিবেদক
নানামুখী জনকল্যাণমুলক কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে একজন জনবান্ধব নেতা হয়ে ওঠেছেন বাকেরগঞ্জের পৌর মেয়র লোকমান হোসেন ডাকুয়া। আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পদার্পণের পর থেকেই দলের একজন কর্মী হিসেবে ইতিবাচক সব কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে নিজেকে বারংবার ফুটিয়ে তুলেছেন রাজনৈতিকসহ সর্ব মহলে। এছাড়া আরোপিত দায়িত্ব পালনেও রয়েছেন একধাপ এগিয়ে। যার ধরুণ দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে পৌরসভায় গুরুত্বপুর্ণ পদে আসীনও করেছেন জনগণ।

পৌর মেয়র পদে দীর্ঘ এ যাত্রায় পৌরবাসীর উন্নয়নেই কাজ করে যাচ্ছেন নিরলস এই রাজনীতিক। এতে বাসিন্দারাও সুফল ভোগ করছে। পৌর এলাকার সকল সুবিধাদি বৈষম্য এড়িয়ে যথার্থভাবে বন্টনেও রেখেছেন সফলতার ছাপ।

এদিকে মাঠ পর্যায় থেকে উঠে আসা এ রাজনীতিকের দক্ষ ও দুরদর্শী নেতৃত্বে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাও ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। দলের শৃঙ্খলা রক্ষা ও দলীয় সব কর্মসূচী নির্দেশনানুযায়ী পালনেও অনড় তারা। আর এতে উপজেলার রাজনৈতিক পরিবেশও শৃঙ্খলার মধ্যেই রয়েছে।

দীর্ঘ ৩০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে লোকমান হোসেন ডাকুয়া বিভিন্ন চড়াই উৎরাই পেরিয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন একজন জনবান্ধন নেতা হিসেবে । ছাত্র- রাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু করেন। তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের সাথে মিলে মিশে নিজেকে তৈরি করেছেন কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে।

নিজ কর্মগুনে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে একজন জনপ্রিয় মানুষ। শুধু মেয়র নয়, লোকমান হোসেন ডাকুয়াকে বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকেরও দ্বায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এজন্য উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ ও নেতা কর্মীদের সাথে তার চলাফেরা। দলের প্রয়োজনে ছুটেছেন উপজেলার একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। অবাধ বিচরণে ফলে প্রতিটি ইউনিয়নের মানুষের কাছে আস্থা অর্জন করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের এই সম্পাদক। যে কোন মানুষ কোন প্রয়োজনে তার কাছে গেলে ভুক্তভোগীর সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন। কাজের মধ্যে থাকতেই তিনি বেশি পছন্দ করেন।

দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি অন্য দলের অন্য মতের মানুষকেও তিনি সাহায্য সহযোগিতা করার চেষ্টা করেন। এককথায় পৌর এলাকায় বসবাস করা সকল শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে সর্বজনীন জনপ্রিয়। পৌরবাসী সবাই সমপরিমাণ নাগরিক সুবিধা ভোগ করেন।

আর সফল এ রাজনীতিকের স্বচ্ছ এ অবস্থানকে অস্বচ্ছ্ব প্রমাণে অপচেষ্টার পাঁয়তারায় লিপ্ত হয়েছে একটি মহল। যার দীর্ঘ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ও সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে প্রাপ্ত খ্যাতিকে কলুষিত করতে অপকৌশল অবলম্বন করে চলেছে ঐ চক্রটি । এমনটাই জানিয়েছেন পৌরসভার একাধিক সচেতন নাগরিক।

তারা জানান, পৌর মেয়রের বিরুদ্বে সম্প্রতি পৌরসভার নানা স্থাপনা ও জমি দখলের মিথ্যা অভিযোগ এনে অহেতুক তথ্য উপস্থাপন করা হচ্ছে নানা মহলে। যার কোন ভিত্তী নেই। মুলত নির্বাচনকে সামনে রেখে সফল ইমেজের এই রাজনীতিকের ক্যারিয়ারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে এমনটা করা হচ্ছে বলে তাদের দাবী।

মেয়র লোকমান ডাকুয়া জানান, এক সময় বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বিশাল আকৃতির ডোবা পৌরসভার অর্থায়নে ভরাট করে সেখানে জনস্বার্থে অত্যাধুনিক বাজার ও বিভিন্ন স্থাপনা নির্মান করে পৌর সভার অধিনে কাঁচা বাজার ইজারা দেওয়া হয়েছে, এছাড়া দোকান গুলো ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত খরচের বিনিময়ে নির্মান পরবর্তী তাদের কাছে মাসিক ভাড়া চুক্তিতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার সমূদয় টাকা প্রতিমাসে পৌর কর্তৃপক্ষ রসিদের মাধ্যমে উত্তোলন পরবর্তী রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করেন। এ বিষয় আমার হাতে বা আমার ব্যাক্তিগত একাউন্টে এক সিকি পয়সাও জমা হয়না। বরংচ জনস্বার্থে এগুলো করতে আমাকে অনেক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়েছে। এমন কি মিথ্যা মামলায় হাজিরা দিয়েছি তারপর ও পিছু হটিনি। তিনি আরও বলেন, এছাড়া বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে শ্রীমান্ত নদীর পানি প্রবাহ বন্ধ করে রাখা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে পুনরায় পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে একটা প্রকল্পের আওতায় নদী পূনঃ খনন করা হয়। যা পরবর্তীতে তালিকাভুক্ত দখলদার ব্যবসায়ীদের পূন বাসনের লক্ষ্যে নদী তীর বর্তী রাস্তার সাইডে নির্ধারিত খরচে দোকান নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের পূনবাসন করা হয়েছে। যার সমূদয় হিসাব ও মাসিক ভাড়া পৌর রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ রয়েছে। যা সরকারি রাজস্ব হিসেবে গন্য। এছাড়া সদর রোডের মাঝখানে জেল খালটি বহুদিন যাবত পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিলো যা পৌরবাসীর কোনো কাজে আসতো না বরংচ ঝড় জলোচ্ছ্বাসে পাড় ভেঙে দু সাইডের মানুষের ব্যপক ক্ষতি সাধন ঘটার অভিযোগ পাওয়া যেতো, পরবর্তীতে পৌরসভার উদ্যোগে সেখানে অত্যাধুনিক ড্রেনেজ নির্মাণ করে উপরে ঢালাই করে আগাবাকের লেনের সাথে সংযোগ ব্রীজ ও রাস্তা তৈরি করে জনস্বার্থে জনদূর্ভোগ দুর করা হয়েছে। ওখানে কারো অবৈধ স্থাপনা থেকে থাকলে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বিবেচনার বিষয়। অথচ না জেনে আমার ইমেজ নষ্ট করতেই দুষ্টচক্রটি আমাকে জড়িয়ে মনগড়া তথ্যে পরিবেশন করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, ৮৪ সালে সেই স্কুল ছাত্র থেকে ছাত্র লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত আছি। বঙ্গবন্ধুর চেতনায় বিশ্বাসী থেকে কলেজ ছাত্রলীগ, উপজেলা ছাত্রলীগের পরবর্তী যুবলীগ ও আজকের আওয়ামী লীগের উপজেলা সাধারন সম্পাদক হিসেবে এক যুগের বেশি সময় ধরে দায়িত্ব পালন করছি। এর মধ্যে তৃতীয়বারের মতো পৌর সভার মেয়র হিসেবে দায়িত্বে আছি। পৌরসভার উন্নয়নে আমি আমার সর্বত্র চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমি মানুষ হিসেবে কেমন তা পৌরবাসীসহ উপজেলার প্রতিটি মানুষ জানেন। আমার বিরুদ্ধে মনগড়া গল্প সাজিয়ে লাভ নেই। সম্প্রতি সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত প্রার্থীর পক্ষে কাজ না করায় তার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পৌর রাজস্ব আদায়ে গড়িমসি করেছে। ওদের উপর চাপসৃষ্টি করলে ওরাই সম্ভবত আমার পিছু নিয়েছে। এ বিষয়ে পৌর নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, পৌরসভার আওতায় পৌর মেয়র বিধি লঙ্ঘন করে কোথায় ও কিছু করছে এমন কোনো বিষয় আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই ।

বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, নদী ও জেলখাল এগুলো পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায়, এগুলোর বিষয় আমার কাছে কোনো অভিযোগ নেই।

এদিকে পৌর মেয়রের বিরুদ্বে নানা এসব অপকৌশল ও তার ভাবমুর্তি ক্ষুন্নের অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠেছে বাকেরগঞ্জবাসী । তারা এ বিষয়ে সংশ্লিস্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।