অনলাইন ডেস্ক
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে জেলেদের চাল বিতরণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়টি পুরোটাই বিভ্রান্তিকর ও অহেতুক বলে মন্তব্য করেছেন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, প্রতিবছর সুশৃঙ্খল ও যথা নিয়মে ভিজিএফ ও ভিজিডির চাল বিতরণ করা হচ্ছে। এতে অনিয়মের কোন সুযোগ নেই।
মার্চ-এপ্রিল, মে-জুন এই ৪ মাস নদীতে জেলেদের জাটকা ইলিশ ধরা নিষেধাজ্ঞা থাকায় তালিকাভুক্ত জেলেদের ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। গত রোববার (২৩ জুন) ও সোমবার (২৪ জুন) সকালে ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিএফ চাল বিতরণ করা হয়। আমি পরিষদে না থাকায় ইউনিয়নের অন্য সব ইউপি সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল কালামকে চাল বিতরণের লিখিত দায়িত্ব প্রদান করি। যথা নিয়মের ঐ দুই দিন তিনি চাল বিতরণ করেন। কিন্ত চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে একটি মহল পরিষদের ইতিবাচক সব কর্মকান্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। মুলত প্রতিবছর ইউনিয়ন পরিষদে সরকারের বরাদ্দ কৃত সব সামগ্রী উপকারভোগীদের মাঝে শতভাগ স্বচ্ছতার সাথে বিতরণ কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করা হয়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অসাধু মহলটি আমার ও ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে অহেতুক মিথ্যা অপ-প্রচার চালিয়েছে। যা হয়রানী মূলক। যা নিন্দনীয়। চেয়ারম্যান বলেন, সরকারের দেয়া বরাদ্দ কৃত চাল ঐ দুদিন যথানিয়মে বিতরণ করেছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ইউপি সদস্য। নিবন্ধনকৃত দরিদ্র জেলেদের জন্য প্রতি মাসে ৪০ কেজি চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। চলতি বছরে এই ইউনিয়নের ১৫০ জন জেলেকে দুই মাসের চাল একত্রে জনপ্রতি ৮০ কেজি করে নির্দেশনা অনুযায়ী বিতরণ করা হয়। এতে জেলেরাও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। এছাড়া চাল বিতরণকালে সংশ্লিস্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। চাল বিতরণের দায়িত্বে থাকা ইউপি সদস্য কালাম জানান, কোনো অনিয়ম হয়নি। ট্যাগ অফিসারের সামনে গত দুই মাসের চাল বিতরণ করা হয়েছে। সঠিক নিয়মেই সকল জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।
Leave a Reply