নিজস্ব প্রতিবেদক
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৬ জুন অনুষ্ঠিত হচ্ছে গৌরনদী পৌরসভার উপ-নির্বাচন। ইতিমধ্যে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ক্রমশই প্রচারমুখর হয়ে ওঠছে নির্বাচনী এলাকা। প্রার্থীরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারযুদ্বে নেমে পড়েছেন। পৌছে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। উন্নয়নের নানাবিধ প্রতিশ্রুতি ও তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার তুলে ধরছেন । আর জনপ্রতিনিধিত্বের চেয়ারে আসীন হতে নানা কৌশলে ভোটারদের আস্থা অর্জনে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। আর উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে অংশ নিয়েছেন ত্যাগী নেতা সহ অনেক নতুন মুখ। ভোটারদের ভালবাসা অর্জনের পুর্বেও নতুনদের অনেকেই জনপ্রতিনিধি হয়ে জনসেবক হিসেবে নিজেকে গড়ার প্রস্ততি নিয়ে নির্বাচনের প্রচারযুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ও সুবিধা বঞ্চিত স্ব স্ব এলাকার উন্নয়নে ভুমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেই অংশ নিয়েছেন এ লড়াইয়ে।
এমনি এক রাজনৈতিক মানবিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এইচ. এম জয়নাল আবেদীন । আসন্ন গৌরনদী পৌরসভার উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থী হয়ে মোবাইল ফোন প্রতীকে লড়ছেন তিনি।
পৌরবাসীর দোরগোড়ায় পৌছে যাচ্ছেন তিনি। সাধারণ মানুষের সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করে নিচ্ছেন খোজখবর। এছাড়া তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন বাস্তবায়নেরও প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। গতকাল বিকেলে প্রতিবেদকের সাথে নির্বাচিত হলে পৌরবাসীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নের নানা প্রতিশ্রুতি ও সে মোতাবেক কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
জানা যায়, এইচ. এম জয়নাল আবেদীন একজন সমাজ সেবক। মুলত তার পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে জনসাধারণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন বারংবার। সমাজের উন্নয়নে অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অতিবাহিত করে চলেছেন । সেই সেবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই এবারে অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। মূলত একজন জনপ্রতিনিধি হতে নয় একজন সফল জনসেবক হিসেবে মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রয়াসেই তার এ স্বীদ্ধান্ত।
গৌরনদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে দীর্ঘ ১২ বছর যাবত সুনামের সাথে ও সফল সংগঠক হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তিনি।
পৌর এলাকার বিভিন্ন স্তরের বাসিন্দারা জানান, ইতিবাচক মুল্যবোধের অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব জয়নাল আবেদীন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় মানুষকে সেবার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যয়োন্ননের প্রয়াসে দিন-রাত স্বপ্ন বুনে চলেছেন। তিনি সর্বদা দান-সদকার পাশাপাশি সমাজের গরীব দুঃখী অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছেন। ইসলামের খেদমতেও বারংবারই একধাপ এগিয়ে তিনি। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়সই নানাবিধ চাহিদা সাধ্যমত পূরণ করছেন তিনি। সমাজ সেবামুখী প্রত্যেক ইতিবাচক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয় অবস্থানেই দেখা যায়। তিনি শুধু এই এলাকায়ই নয়, নিজের সর্বোচ্চ সাধ্যমত বিভিন্ন স্থানের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রায়সময়ই প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন। তার এসব কর্মকান্ড অব্যহত থাকুক।
প্রতিবেদককে মেয়র পদপ্রার্থী জয়নাল আবেদীন জানান, আমার পুরো পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। এ অবস্থানে থেকে মানুষের সেবায় তাদের পাশে সবসময় থাকার প্রচেস্টা অব্যাহত রয়েছে। মুলত জনগণের প্রত্যাশা থেকেই নির্বাচনে অংশ নিয়েছি।
মানুষের নানা সুবিধা-অসুবিধায় পাশে থেকে তাদের সেবায় মনোনিবেশ ও কাঙ্ক্ষিত সেবা প্রদানই আমার লক্ষ্য। তাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী নির্বাচিত হলে পারলে শতভাগ উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করবো।
জয়নাল আবেদীন বলেন, আমার পাশে উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ সহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা রয়েছেন। আমার বিরুদ্বে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা বিভিন্ন মাধ্যমে অপ-প্রচার চালাচ্ছেন। আমরা সহাবস্থানে বিশ্বাসী। এ অবস্থানে থেকে আমরা শান্তিপুর্ণভাবে নির্বাচনী কার্যক্রম অতিবাহিত করব।
নির্বাচন অনুষ্ঠিতের বিষয়ে তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলে আমি আশাবাদী । সেক্ষেত্রে মানুষ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে যথাযথভাবেই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। যোগ্য প্রার্থীকে বাছাইয়ে ভোটারদের প্রতি তিনি শতভাগ আস্থা ও তাদের প্রতি ভালবাসা জ্ঞাপন করেন তিনি ।
উল্লেখ্য, সদ্য সমাপ্ত গৌরনদী উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় মেয়র পদ থেকে হারিছুর রহমান পদত্যাগ করায় উপ-নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। পৌরসভায় মেয়র পদে মোট চারজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়।
Leave a Reply