নিজস্ব প্রতিবেদক
তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই ক্রমশই প্রচারমুখর হয়ে ওঠছে নির্বাচনী এলাকা। প্রার্থীরা স্ব স্ব অবস্থান থেকে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে প্রচারযুদ্বে নেমে পড়েছেন। পৌছে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। উন্নয়নের নানাবিধ প্রতিশ্রুতি ও তা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার তুলে ধরছেন । আর জনপ্রতিনিধিত্বের চেয়ারে আসীন হতে নানা কৌশলে ভোটারদের আস্থা অর্জনে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা। আর এবারের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে একাধিক নতুন মুখ। তবে বর্তমানকেই বেছে নিয়ে জনসেবক হিসেবে তাদেরকেই পুনরায় পাশে চান সাধারণ মানুষ।
এরই ধারাবাহিকতায় মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে ও সুবিধা বঞ্চিত স্ব স্ব এলাকার উন্নয়নে ভুমিকা রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেই এবারেও তারা অংশ নিয়েছেন নির্বাচনে।
এমনি এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মোঃ তরিকুল হাসান খান মিঠু। আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বরিশালের মুলাদী উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে আনারস প্রতীকে লড়ছেন তিনি। যদিও বর্তমানেও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সফলভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, তরিকুল হাসান খান মিঠু একজন সমাজ সেবক। মুলত তার পুরো পরিবারই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত থেকে জনসাধারণের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন বারংবার। সমাজের উন্নয়নে অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো অতিবাহিত করে চলেছেন । সেই সেবার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতেই এবারেও অংশ নিচ্ছেন নির্বাচনে। মূলত একজন জনপ্রতিনিধি হতে নয় একজন সফল জনসেবক হিসেবে মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেয়ার প্রয়াসেই পুনরায় তার এ স্বীদ্ধান্ত।
জানা গেছে, মুলাদী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক তারিকুল হাসান মিঠু খান। তিনি ১৯৯৩ সালে ছাত্রলীগের সমর্থনে সরকারি মুলাদী কলেজের জিএস নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে উপজেলার ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক, ১৯৯৫ সালে সভাপতি, ২০০৬ সালে যুবলীগের আহ্বায়ক, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১৩ সালে উপজেলা ১৪ দলের সমন্বয়ক এবং ২০১৪ সালে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৬ সালে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সম্মানিত সদস্য মনোনীত হন। তিনি দলের বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়ে নেতাকর্মীদের আগলে রেখেছেন। অসহযোগ আন্দোলন ও ১/১১ আন্দোলনে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তির দাবি আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে মুলাদী উপজেলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
মুলাদি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দারা জানান, ইতিবাচক মুল্যবোধের অধিকারী সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব তারিকুল হাসান মিঠু খান জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময় মানুষকে সেবার মধ্য দিয়ে কাটিয়ে যাচ্ছেন। মানুষের ভাগ্যয়োন্ননের প্রয়াসে দিন-রাত স্বপ্ন বুনে চলেছেন। তিনি সর্বদা দান-সদকার পাশাপাশি সমাজের গরীব দুঃখী অবহেলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের দুর্ভোগ লাঘবের প্রচেস্টা অব্যাহত রেখেছেন। ইসলামের খেদমতেও বারংবারই একধাপ এগিয়ে তিনি। স্কুল, কলেজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায়সই নানাবিধ চাহিদা সাধ্যমত পূরণ করছেন তিনি। সমাজ সেবামুখী প্রত্যেক ইতিবাচক কর্মকান্ডে তাকে সক্রিয় অবস্থানেই দেখা যায়। তিনি শুধু এই এলাকায়ই নয়, নিজের সর্বোচ্চ সাধ্যমত বিভিন্ন স্থানের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রায়সময়ই প্রশংসা কুড়িয়ে চলেছেন। তার এসব কর্মকান্ড অব্যহত থাকুক।
এদিকে তার সমর্থনে অনুষ্ঠিত উপএজলার সফিপুর ইউনিয়নে এক উঠান বৈঠকে জনতার ঢল নামে । শত শত কর্মী ও সমর্থকরা এতে অংশ নেন। একাধিক কর্মী সমর্থকরা জানান, একজন জননন্দিত উপজেলা চেয়ারম্যান মিঠু ভাই। উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সফল্ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। উপজেলার সার্বিক উন্নয়ন কর্কান্ড বাস্তবায়ন করেছেন মিঠু ভাই। উপজেলার উন্নয়নে তার বিকল্প নেই।
Leave a Reply