বরিশাল প্রতিনিধি :– জুবায়ের হাসানের খুটির জোঁড় কোথায়! জানতে চায় নগরবাসী। তার বেআইনি কাজকর্মের জন্য অতিষ্ঠ হয়েছে বরিশাল নগরীর সাধারন মানুষ। গোটা বরিশাল যখন সন্ত্রাশ নিধনে বদ্ধপরিকর ঠিক এহেন অবস্থায় গুটিকয়েক ছিচকে মাস্তান রামরাজত্ব্য করবে তাহা নগরবাসী কখনোই মেনে নেবে না।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, বরিশাল নগরীর ২১ নং ওয়ার্ড এর ভাড়াটিয়া সাবেক ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি মো: জাকির হোসেন বাদলের পুত্র জুবায়ের হাসান (৩২)। সূত্র আরো জানায়, প্রায়ত মেয়র সওকত হোসেন হিরণ এর আমলে আর্বিভাব হয় এ যুবকের। সওকত হোসেন হিরণ এর মৃত্যুর পরে যিনি যখন ক্ষমতায় আসে তার দরজায় কড়া নাড়তে থাকে উঠতি বয়সি এ যুবক ।
প্রায়ত মেয়র কামাল হোসেন ও সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর দক্ষিণ হস্ত, শেখ সাইদ আহমেদ কাউন্সিলর মান্নার আস পাশে থাকতো এই যুবক। কখনো বাজারে, কখনো বিয়ে বাড়িতে, কখনো বিশেষ কোন অনুষ্ঠানে কেক কেটে খাওয়াতে দেখা গেছে নেতাকে। মোট কথায় কাউন্সিলর সহেবের দোয়া নিয়েই নগরীর চৌমাথা বাজারের বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী থেকে আরম্ভ করে মধ্যসত্তভূগী কোনো ব্যবসায়ী তার অত্যাচারের খর্গ থেকে রেহাই পায়নি।
স্থানীয় এক ক্ষুদ্রব্যবসায়ী (তরকারি বিক্রেতা) মজিবুল হক আনসারী জানায়, আমাদের কাছ থেকে সাবেক মেয়রের আমলেও তিনি বিদ্যুৎ বিলের নাম করে প্রতিনিয়ত ৭০টাকা কালেকশন করতো। যদি কোন ব্যবসায়ী তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করতো তাহলে তাকে বিভিন্ন ভাবে হেনস্ত্যায় পড়তে হতো। পাশাপাশি ফুটপাতের দোকানটিও হারাতে হতো তাকে।
নাম না বলা শর্তে ঐ বাজারের অপর এক ব্যবসায়ী জানান, আমরা জোবায়েরকে ১ থেকে ১২০ জন ছোট বড় ব্যবসায়ী প্রতিনিয়ত টাকা প্রদান করি। শুধু তাই নয় বিদ্যুৎ বিল ছাড়াও বিশেষ বিশেষ দিনে ও অনুষ্ঠানে আমরা সবাই মিলে কমবেশি টাকা দেই তাকে। তার কথার অবাধ্য হলে উত্তম মাধ্যম খেতে হয়। সম্পৃতিক কালে শোনা যায় উঠতি এই যুবক জোবায়ের হাসান দল বদল করে মহানগর ছাত্রলীগের নেতা অসীম দেওয়ান এর দরজায় কড়া নেড়ে ক্ষয়েরখাঁ গিড়ি করতে দেখা যায়। পেতে চায় নেতার আশির্বাদ।
একাধিক ব্যবসায়ীদের কাছে জোবায়ের হাসান প্রায়ই বলে থাকে, আমি বিসিসির উচ্ছেদ শাখার প্রধান হিসেবে নিয়োগ পাচ্ছি। শুধু মাত্র সময়ের ব্যাপার। এ কথা শুনে অনেক ব্যবসায়ী আতঙ্গে ভেঙ্গে পড়েন। কারন ক্ষুদ্রনেতা নেতা সাথে থাকবে বিসিসির পাওয়ার তাহলে আমরা আর নগরীতে ব্যবসায় বাণিজ্য করে দিন পাড় করতে পারবো না।
কিন্তু উচ্চশিক্ষিত এবং সৎ সাহসী নেতা অসীম দেওয়ান জানে কি জুবায়েরের পুড়োনো ইতিহাস? তিনি কি জানে, সে কউন্সিলর মান্নার আশির্বাতুষ্ট ছেলে। যখন যিনি ক্ষমতায় থাকেন তার অনুসারী হয়ে যায় জুবায়ের। নগরীর জ্ঞানী গুনীর মন্তব্য এই যে, উঠতি ওই যুবক আসলে রাজনীতি করে না, তিনি চায় ক্ষমতা। চাটুকারী করে টাকা কামাতে।
নগরীর ২১ নং ওয়ার্ডের অসংখ্য ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের দাবি বিষয়টি বর্তমান মেয়রসহ নেতা অসীম দেওয়ান এর দৃষ্টিতে অবলোকন হোক। পাশাপাশি বেআইনি কাজকর্ম করে কেউ যেন রেহাই না পায় এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা। উক্ত বিষয় সম্পর্কে অভিযুক্ত জোবায়ের হাসানকে ফোন করা হলে তার মুঠোফন রিসিভ না করে কেটে দেন।
Leave a Reply