স্টাফ রিপোর্টার
পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ চরাইল গ্রামে জমিজমা বিরোধের জের ধরে বাপ ছেলেকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত যখম করেছে প্রতিপক্ষরা। শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাত ৯:৩০ মিনিটের সময় হাওলাদার বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতদের নাম আ: মালেক হাওলাদার ও তার ছেলে সিফাতুল ইসলাম হাসিব। আহতদের মধ্যে আ: মালেক হাওলাদারকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আহতের স্ত্রী শাহনাজ জানান তার স্বামী মালেক একজন সৌদি প্রবাসে ছিলেন, সে সৌদি আরব থাকাকালীন তার পিতা জীবিত থাকা অবস্থায় যে সম্পত্তি বিক্রি করে দিয়েছিল সেই সম্পত্তি আবার ছাড়িয়ে আনার জন্য তার মেজ ভাই চান মিয়ার কাছে টাকা পাঠান সেই জমি আবার ফিরিয়ে আনার জন্য, কিন্তু তার মেজ ভাই চান মিয়া কৌশল করে সেই জমি তার নামে ফিরিয়ে নেয়। এবং তিনি আরো জানান মালেক বিদেশ থেকে আসার পরে তাদেরকে চাষাবাদ করার জন্য মালেকের নিজের ক্রয় কিত জমি থেকে পাঁচ কাঠা জমি দেয়।
কিন্তু মালেক যখন দেশ এসে জানতে পারে যে তারি ক্রাইকৃত জমি চান মিয়া তার নিজের নামে করে নিয়েছে। পরে ওই জমি ফেরত চাইলে তাই নিয়ে তার মেজ ভাসুর চান মিয়ার সাথে বেশ কয়েক বছর যাবত তাদের সাথে শত্রুতা চলে আসছিল, তারই সূত্র ধরে ঘটনার দিন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মালেকের ঘরের টিনে ঢিল মারে তারই শব্দ শুনে মালেক ঘর থেকে বাহিরে আসার জন্য দরজা খুললে ও পেতে থাকা চান মিয়া তার ছেলে সুজন ও সুমনসহ ৩-৪ জন মিলে ঘর থেকে টেনে হেচড়ে নামিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে রান্দা, দেশীয় অস্ত্র ও লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে তাৎক্ষণিক ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করে।
তার অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে আহতের স্বজনরা জানান।
Leave a Reply