1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wordpUser10@org.com : supe1User10 :
  5. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
বরিশালে ওলামাদলের এক নেতার বিরুদ্ধে আওয়ামী অনুসারীর মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগ বরিশালে আতাহার উদ্দিন হাওলাদার ডিগ্রি কলেজে নকলের মহা উৎসব, সহযোগিতায় রয়েছেন শিক্ষকরা! ফলাফলে সেরা এআরএস মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, পাশের হার ৯২ শতাংশ সামাজিক কর্মকাণ্ডে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন ছাত্রনেতা গোলাম রাব্বি বরিশালে জেন্ডার ইকুয়ালিটি ট্রান্সফর্ম ক্লাইমেট এ্যাকশন ( গেটকা) প্রকল্পের পরিচিতি সভা বরিশালের এইচএসসি/ বৈরী আবহাওয়ায়ও কেন্দ্র পরিদর্শনে ছুটছেন বোর্ড চেয়ারম্যান, অভিভাবকদের সন্তোষ প্রকাশ বরিশালে নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রচারণায় জড়িত ৩ জন গ্রেফতার বরিশালে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার বরিশালে ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ফেসবুকে ভিডিও ঘিরে আলোচনা-সমালোচনা ! দেশ ও সমাজ এগিয়ে নিতে মানুষকে দক্ষ মানবসম্পদে গড়ে তুলতে হবে-সুনামগঞ্জে কারিগরি বিভাগের সচিব

রাজমিস্ত্রি থেকে বিসিএস ক্যাডার জুয়েল

  • প্রকাশিত : বুধবার, ৯ আগস্ট, ২০২৩
  • ১১৬ 0 সংবাদ টি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক // নাটানির সংসার। নূন আনতে পান্তা ফুরায় এমনই অবস্থা দিন পার হতো জুয়েলের। এরই মধ্যে ৮ বছর বয়সে বাবাকে হারান তিনি। এরপর রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসারের হাল ধরতে হয় তাকে।

সেখানে নিজের পড়াশোনার খরচ যোগানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়ে। তবুও জীবন যুদ্ধে থেমে যাননি নাটোরের লালপুর উপজেলার জুয়েল আলী। টিউশনি করে নিজের লেখাপড়ার খরচ যুগিয়েছেন তিনি। সেই জুয়েল এবার সদ্যপ্রকাশিত ৪১তম বিসিএসে প্রকৌশলী ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।

জুয়েল আলী উপজেলার দক্ষিণ লালপুর গ্রামের মৃত হাসান মন্ডলের ছেলে। তিনি লালপুর শ্রীসুন্দরী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে জিপিএ-৫ এবং লালপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন।

পরে রাজশাহী প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সিভিল বিভাগ থেকে প্রথম শ্রেণিতে স্নাতক শেষ করেন। জুয়েলের মা জামেলা বেগম জানান, স্বামী মারা যাওয়ার পর অর্থাভাবে বার বার ছেলের পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়েছে।

তবে বিভিন্ন সময় ভালো রেজাল্ট করার কারণে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা পাওয়ায় সেইসব টাকা দিয়ে লেখাপড়া করেছে। টিউশনিও করেছে। খুব কষ্ট করে লেখাপড়া শিখেছে। কষ্টের দিনগুলো তার এখন শেষ হয়েছে, আমার ছেলের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

অশ্রুভেজা চোখে জুয়েল বলেন, ৮ বছর বয়সে আমার বাবা মারা যান। তারপর পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় সেই বয়সেই মায়ের পাশাপাশি আমাকেও সংসারে হাল ধরতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতে হয়েছে।

কয়েকবার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। শিক্ষকদের সহযোগিতায় আবারো পড়াশোনা শুরু করি। অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি, এসএসসি ও এইচএসসিতে ‘এ’ প্লাস পাওয়ার পর থেকে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক ও প্রাকীর্তি ফাউন্ডেশন থেকে বৃত্তি পেয়েছিলাম।

এই বৃত্তির মাধ্যমে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছি। পরবর্তীতে বিসিএসের জন্য আমার স্ত্রী মানসিক ও আর্থিকভাবে সাপোর্ট দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, আমি সব সময় চাইতাম মায়ের মুখে হাসি ফুটাবো। একটা সরকারি চাকরি পাওয়ার স্বপ্ন ছিল।

ভালো পোশাক ভালো খাওয়া এসব অতটা আশা করিনি কোনোদিন। আজ সাফল্যের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে গেছি। দায়িত্ব পালনকালে সব সময় আমি ন্যায় ও নিষ্ঠার সঙ্গে আমার ওপর অর্পিত কাজটা সঠিকভাবে করব।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ