এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। এরইমধ্যে কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নিদের্শনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। সড়ক সচল রাখতে ও দুর্ঘটনা এড়াতে পাহাড়ি সড়কে যানবাহন চলাচলে গতি নিয়ন্ত্রণ রাখার পরামর্শ দিচ্ছে সড়ক বিভাগ।
গত কয়েকদিন ধরে খাগড়াছড়িতে থেমে থেমে হালকা, মাঝারি, কখনো ভারী মাত্রার বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের কারণে জেলায় পাহাড় ধসের শঙ্কা বেড়েছে। বিভিন্নস্থানে ভেঙে পড়ছে গাছপালা। পাহাড় ধসে জানমালের ক্ষতির শঙ্কায় গতকাল রোববার দুপুর থেকে জেলা শহরের শালবাগান, কুমিল্লাটিলা এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা পরিবারদের সচেতন করতে মাইকিং করছে ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা। এসব এলাকার ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোকে নিরাপদস্থানে সরে যেতে বলা হচ্ছে। তবে সতর্কতা অনুযায়ী সাধারণ মানুষের নিরাপদস্থানে সরে যাওয়ার হার খুবই কম বলে জানাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
পাহাড় ধসের শঙ্কা ছাড়াও টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ি শহরের বুক চিরে প্রবাহিত হওয়া চেঙ্গী নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদী তীরবর্তী ওইসব এলাকায়ও সচেতনতামূলক মাইকিং করছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৗশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, টানা বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ি সড়কের ওপর পাহাড় ধসে পড়ার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি মাথায় রেখে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়ক বিভাগের ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছে। বৃষ্টির সময় পাহাড়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্কতামূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন কর্মকর্তা রাজেশ বড়ুয়া বলেন, প্রবল বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের শঙ্কার পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলে চেঙ্গী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই সময়ে ক্ষয়ক্ষতি ও জানমাল রক্ষায় সচেতন করতেই জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে মাইকিং করা হচ্ছে।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মোধ সজিদুজ্জামান বলেন, জেলায় পাহাড় ধসের শঙ্কা কম থাকলেও পাহাড়ি এলাকার জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়াও পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগকালে জেলার ৯ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার নিদের্শনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক। খাগড়াছড়িতে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিতে বসবাস করছে প্রায় ২ হাজার পরিবার।
Leave a Reply