দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০২২ সালে জুনে ওই স্থানে ১৫ মিটার দীর্ঘ এই আরসিসি গার্ডার ব্রিজটি প্রায় ৮৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার দফতর থেকে কাজটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২৩ সালের জুনে। তবে এখনও শেষ না হওয়ায় খালের দৈর্ঘ্যরে তুলনায় সেতুর দৈর্ঘ্য কম হওয়ায় সেতুর দুই পাশে প্রায় ১৫০ ফুট দীর্ঘ বাঁশের সাঁকো বানানো হয়েছে।
দুটি গ্রামের অন্তত হাজারো মানুষ প্রতিদিন সেতুটি ব্যবহার করে। তবে সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় বাঁশের সাঁকো ব্যবহারে বাধ্য হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে দুর্ভোগ কমার বদলে বেড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাজি আবদুস সালাম বলেন, দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এখানে সেতু নির্মাণ করা হলেও তাদের দুর্ভোগ কমেনি। সেতুর দুই পাশের সড়কের অধিকাংশ অংশ ভাঙা এবং দখল হয়ে গেছে। সেতুতে উঠতে ও নামতে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করতে হয়। বয়স্কদের জন্য এটি খুবই কষ্টকর। আর যে মানের কাজ করেছে তাও সন্তোষজনক নয়।
স্থানীয় একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার বলে, সেতুতে উঠতে হচ্ছে বাঁশের সাঁকো দিয়ে। অনেক শিক্ষার্থী নিয়মিত এ পথে যাতায়াত করেন। এভাবে যাতায়াত খুব কষ্টের।
গৃহিণী শারমিন আক্তার বলেন, দুই পাশে যদি সাঁকোই থাকে তা হলে মাঝখানে সেতু নির্মাণের কী প্রয়োজন? এ সেতু তাদের কোনো কাজেই আসছে না। বরং এর জন্য মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে।
এ বিষয়ে টেংগারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুল হাসান ফরাজী বলেন, আমি গত ১৫ জুলাই সরেজমিন সেতুটি পরিদর্শন করেছি।
সেতুর দুই পাশে এপ্রোচ সড়ক নেই। বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে সেতুতে উঠতে ও নামতে হয়। এসব এই অসুবিধা দূর করতে সেখানে বালি ফেলা ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা দরকার। বিষয়টি আমি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
গজারিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে সেতুটির এপ্রোচে ভরাট করার জন্য মাত্র ৬৫ হাজার টাকা ধরা আছে।
বাস্তবে খরচ পড়বে এর কয়েকগুণ বেশি। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে মাটি ভরাটসহ কিছু কাজ বাকি থাকায় আমরা তাদের পুরো বিল দিইনি। সেতুর এপ্রোচে মাটি ভরাটের আমরা আরেকটি প্রজেক্ট দেব। কাজটি শেষ হলে সেতুটি ব্যবহারকারীদের আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।
Leave a Reply