নিজস্ব প্রতিবেদক // চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিষাক্ত সাপের কামড়ে তাজমীকা মঞ্জু নোহা (৭) নামের দ্বিতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। সে স্থানীয় সৈয়দপুর ইউনিয়নের আলাকুলিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ও একই গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী মো. মঞ্জুর তৃতীয় সন্তান।
মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সাপে কামড় দিলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে হাসপাতালে পৌঁছালে রাত আটটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়ের নির্ধারিত ক্লাস শেষ করার পর বেসরকারি ‘সমৃদ্ধি’ নামক একটি স্কুলে পড়তে যায় নোহা। সেখানে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নোহাও মাটিতে বসে লেখাপড়া করছিল। এ সময় হঠাৎ বিষাক্ত প্রকৃতির একটি সাপ তার পায়ের তালুতে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে তাকে সেখান থেকে দ্রুত সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানে সাপের অ্যান্টিভেনম থাকার পরও আত্মীয় স্বজনরা তাকে চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
অন্যদিকে নিহত নোহার আত্মীয়-স্বজনরা বলছেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসকরা অ্যান্টিভেনম দেওয়া হলে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে অনেক ক্ষেত্রে রোগী মারা যেতে পারে বলে তাদের ভয় দেখান। এই কারণে তারা চমেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নুরুদ্দিন রাশেদ বলেন, সাত বছর বয়সের একটি মেয়েকে সাপে কাটলে তাকে হাসপাতালে আনার পর আমরা অ্যান্টিভেনম দেওয়ার জন্য বলি এবং নিয়ম অনুযায়ী অ্যান্টিভেনম দেওয়ার সম্ভাব্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে তাদের অবহিত করি।
অ্যান্টিভেনম নিতে হলে যে কোনো একজন অভিভাবকের সম্মতি সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে হয়। কিন্তু রোগীর সঙ্গে আসা কেউ সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর করতে রাজি না হয়ে বাচ্চাটিকে চমেক হাসপাতালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
Leave a Reply