নিজস্ব প্রতিবেদক // বরিশালে গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেছেন ভণ্ড ফকির ও তার সহযোগী। এ ঘটনায় মামলার পর ভণ্ড ফকির ও তার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) বিকেলে নগরীর বিভিন্নস্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করে মেট্রোপলিটনের বন্দর থানা পুলিশ। গ্রেফতার ভণ্ড ফকির হেলাল হাওলাদার (৪৯) বরিশাল সদর উপজেলার কর্নকাঠি গ্রামের আশ্রাব আলী হাওলাদারের ছেলে এবং তার সহযোগী জাফর মীরা (৪৬) বরিশাল নগরীর বেলতলা এলাকার ইউনুস মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া এবং কলাপাড়া উপজেলার গঙ্গামতি এলাকার লাল মীরার ছেলে।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভণ্ড ফকির হেলাল হাওলাদার কর্নকাঠি এলাকার আমিরুল ইসলামের বাগান বাড়ির কেয়ারটেকার হিসেবে চাকরি করে।
নিজেকে ফকির দাবি করে ঝাড়-ফুক দেন। ভণ্ড ফকিরের সহযোগী জাফর মীরা ওই নারী ও তার স্বামীকে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার প্রলোভন দেখায়। এজন্য নারীকে আসনে বসার প্রস্তাব দেয়। এর মাধ্যমে গুপ্তধন পেলে নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার প্রস্তাব দেয়।
ওই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ১৫ জুলাই বিকেলে ওই নারীকে জাফর মীরা কর্নকাঠি আমিরুল ইসলামের বাগান বাড়িতে নেয়। গভীর রাতে ওই নারীকে আসনে বসিয়ে নানা তন্ত্রমন্ত্র ঝাড় ফুকের নাম করে ভণ্ড ফকির হেলাল ও জাফর মীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ১৬ জুলাই ভোরে ওই নারীকে বাসায় পাঠিয়ে দেয়।
ওসি মুকুল বলেন, এ ঘটনার পরদিন (১৭ জুলাই) ওই নারী বাদী হয়ে বন্দর থানায় ধর্ষণ, বিশ্বাসভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে মামলা করেন। উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে দুইজনের একজনকে নগরীর কাউনিয়া এবং অপরজনকে সাগরদী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার হেলাল হাওলাদার জানিয়েছেন লোকে তাকে ফকির উপাধি দিয়েছে। সে ঝাড়ফুঁক দিলে লোকজন ভালো হয়েছে বলে দাবি করে তার কাছে আসতো।
কোন তন্ত্র-মন্ত্রই সে জানে না। একই সঙ্গে আসামিরা ওই নারীকে ধর্ষণের কথাও স্বীকার করেছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে ও নারীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
Leave a Reply