নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল // বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৃতীয় পরিষদে ২৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন রেজভী চৌধুরী। ওয়ার্ডটির চৌমাথা সংলগ্ন চৌধুরী বাড়ির সন্তান তিনি। কিন্তু পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই এই জনপ্রতিনিধির আকস্মিক মৃত্যু হয়। এদিকে রেজভীর মৃত্যুর পর তার আপন বড় ভাই ওয়ার্ডটির একসময়ের কমিশনার এমরান চৌধুরী জামাল জনসেবা শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি ভাইয়ের পরিবার দেখাশোনাসহ রেজভীর রেখে যাওয়া সম্পত্তিও দেখভাল করেন। রেজভীর ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদধারী এমরান চৌধুরী জামাল গত বছরের শেষ দিকে মৃত্যুবরণ করলে সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে উভয় পরিবারে দেখা দেয় বিরোধ। আর এই মৃত্যুর পরই ভাইয়ের সম্পত্তি কৌশলে জোরপূর্বক দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে চাচী, চাচা,ফুফুও চাচতো ভাই বোনেরা। বাবার মৃত্যুর পরে তার একাউন্টে থাকা নয় লাখ টাকা দেনা পাওনার কথা বলে সুযোগে হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে ফুপু লাইজু আক্তার বিকুর বিরুদ্ধে। মৃত বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বৃষ্টি এন্টার প্রাইজে এর চাবি চাইতে গিয়ে ফুফাতো বোন নওরিন ইসলাম অন্তির হামলার স্বীকার হয়েছে সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল চৌধুরী রেজভীর মেয়ে জামিয়া চৌধুরী এবং তাদের নিজ বাড়ি ছাড়ার হুমকি ধামকি ও অকথ্য ভাষায়া গালিগালাজ করে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার এক যুবক সাংবাদিকদের জানান বিকুওতার মেয়ে নওরিন ইসলাম মিলে নিজ জামাইয়ের সাথেও প্রতারনা করে ধরা পড়েছে। তবে প্রতারণা করেও এড়িয়ে যেতে পারেনি বরং জামাইয়ের করা চুরি মামলায় আসামিও হয়েছেন মা মেয়ে। তবে লোকমুখে সোনাযায় এটা তাদের মা মেয়ের বিজনেস হিসোবে দাড়িয়েছে । সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল চৌধুরী রেজভীর ছেলে রেশাদ চৌধুরী প্রান্ত জানান বাবার মৃত্যুর পর হঠাৎ যেন আলাউদ্দিনের চেরাগ পেয়ে বসেছে তারা বড় চাচা গড়েছেন দোতলা বাড়ি এবং ছোট যার আয় ইনকাম নেই এক সময় আমার বাবা তার পরিবার চালাতো আজ সে ও করেছে একতলা বাড়ি। আর আমার ফুপুর পরিবার করছে বিলাসী জীবন যাপন। চাচাও মারা যাওয়ায় ছায়াহীন হয়ে এখন পরিবার-পরিজন নিয়ে কোন মতে বেচে আছি না থাকার মতো। এমনকি বাবা মারা যাওয়ার পর আমাদের সই স্বাক্ষর ছাড়াই জমিজমা বিক্রি করা হয়েছে। তবে কতটুকু পরিমাণ জমি বিক্রি হয়েছে তা জানতে চাইলে তারা এড়িয়ে যায় কিন্তু বিষয়টি থানা পর্যন্ত গড়ালে একপর্যায় শিকার করে বলে ভাইদের নির্বাচনের সময় কিছু জমি বিক্রি করে টাকা দিয়েছি। এ ঘটনায় ছোট ভাই সাবেক কাউন্সিলর রেজভীর ছেলে রেশাদ চৌধুরী প্রান্ত বাবার সম্পত্তি জবরদখলসহ অর্থ আত্মসাতের মতো গুরুতর অভিযোগ এনেছেন চাচি অর্থাৎ এমরান চৌধুরী জামালের স্ত্রীসহ আপন ফুফুর বিরুদ্ধে, যাতে এক চাচাও চাচতো ভাইয়েরা সম্পৃক্ত রয়েছেন। এমনকি এমন অভিযোগ নিয়ে কাউন্সিলরপুত্র বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের দ্বারস্থও হয়েছেন। সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল চৌধুরী রেজবীর ছেলে প্রান্ত চৌধুরী আরো জানান বাবার মৃত্যূর পর আমার বড় চাচা এমরান চৌধুরী জামাল তিনিও জনপ্রতিনিধি হওয়ায় তার সুবাদে বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার কার্যকম চালাতো তখন কোন সমস্যা ছিলনা। কিন্তু চাচার মৃত্যুর পর আমার বড় চাচী টুলু ছোট চাচা আসাদ চাচতো ভাইরা, ফুপু তানিয়াও তার স্বামী এবং ফুপু লাইজু চৌধুরী বিকুও তার স্বামী এরা সকলে মিলে নেমেছেন আমার বাবার জমি দখলের মিশনে আর এই মিশন সফল করতে আমার দাদীকেও তারা এক হাত করে নিয়েছে। রেসাদ চৌধুরী প্রান্ত অভিযোগ করেন, দেখাশুনার দায়িত্বে থাকাবস্থায় আমার বাবার মৃত্যুর পর 15 শতাংশ জমি চাচা বেচে থাকাকালীন সময় আমার ফুপু তার বড় ভাইয়ের নামে করিয়ে নেন। এবং আমার ছোট ফুপু ও তার স্বামী আফজাল হোসেন টুকু অনুমতি না নিয়ে আমার বাবার জমির ওপর টিনের ঘর নির্মান করে ভাড়া দেয় ও অন্যে মৃত বোন লুনার জমিতে বান্ডারী দেয়াল নির্মান করেন। আমি ভাড়া টাকা চাইতে গেলে বলে তোরা কিছু পাবিনা যা পারোস কর আমাদের টাকা আছে কিছুই করতে পারবি না থানা পুলিশ ডাকলেও পাবিনা এখন থেকে যা আর কখনো আসবি না। বিষয়টি নিয়ে 27/6/23 গত তারিখে তাদের নিজ বাড়ীর মুরুবীদের নিয়ে স্থানীয়ভাবে কয়েক দফায় শালিস বৈঠকের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হলেও তারা তা অমান্য করেন এবং আমাদের মারধরের চেষ্টা করে তখন আমিও আমার অসুস্থ মাকে নিয়ে প্রাণে বাচতে শালিস বৈঠক থেকে বের হয়ে আসি । এ ব্যাপারে অভিযুক্তদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে অপরপ্রান্ত থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply