1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. admin@zzna.ru : admin@zzna.ru :
  3. sarderamun830@gmail.com : Sarder Alamin : Alamin Sarder
  4. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser
বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ০৩:২২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা,উপজেলা-থানা,পৈারসভা,কলেজ ও ইউনিয়ন পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক ।
সংবাদ শিরনাম :
বরিশাল মহানগর দায়রা জজ আদালতে দীর্ঘ ১২ বছর পর নব-নিযুক্ত বিচারকের যোগদান আন্দারমানিকে সন্ত্রাসী লিটন বিশ্বাসের হামলায় তিন গৃহবধু আহত গরুর হাটে গরু বিক্রেতাকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ বরিশালে কালচারাল অফিসার ‘অসিত বরণ দাশ’কে’ বিতর্কিত করার চক্রান্ত জিয়াউদ্দিন সিকদারকে বরিশাল মহানগর বাস্তহারা দলের শুভেচ্ছা যাত্রীসেবা নিশ্চিতে কঠোর জিয়াউদ্দিন সিকদার, ভাঁসছেন প্রশংসায়! জিয়াউদ্দিন সিকদারকে নগর বাস্তহারা দলের শুভেচ্ছা বাউফলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইট বাটার শ্রমিককে মারধরের অভিযোগ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তলাবিহীন দেশকে স্বনির্ভর রাষ্ট্রে পরিণত করেন- রহমাতুল্লাহ নগরীর রূপাতলী আজিজিয়া হাউজিংয়ে প্রকৃত মালিককে হয়রানি করে জমি দখলের পায়তারা

পুরুষের গর্ভে সন্তান!

  • প্রকাশিত : রবিবার, ২৫ জুন, ২০২৩
  • ১২৯ 0 সংবাদ টি পড়েছেন

নিজস্ব প্রতিবেদক // আশপাশের মানুষের কাছে তিনি ‘প্রেগন্যান্ট ম্যান’ হিসেবে পরিচিত। কারণ তার সঙ্গে একজন অন্তঃসত্ত্বার চেহারার কোনো অমিল ছিল না। শরীরের বাকি অংশ মোটামুটি স্বাভাবিক। তবে পেটটি অস্বাভাবিক ফুলে থাকত।

নাম সঞ্জু ভগৎ। বাড়ি ভারতের নাগপুরে। জন্ম ১৯৬৩ সালে। শরীরের এই অস্বাভাবিক আকৃতি নিয়ে সঞ্জুকে অনেক কটূক্তি শুনতে হয়েছে। দিন আনা-দিন খাওয়া সংসারের জোয়াল ছিল তার কাঁধে। সংসার সামলাতে এই শরীর নিয়ে তাকে কাজ করতে হয়েছে।

সঞ্জুর বয়স যখন প্রায় ২৫ তখনই চোখে পড়ার মতো বাড়তে শুরু করেছিল পেটের ফোলা ভাব। পরিবারের অনেকেই বলেছিলেন চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য। অস্বাভাবিকতা বুঝতে পারছিলেন সঞ্জু নিজেও। কিন্তু তিনি ভেবেই পাচ্ছিলেন না, যেখানে তিনি রোজ পুষ্টিকর খাবারই খেতে পারেন না সেখানে তার শরীরে এত মেদ জমছে কোথা থেকে।

এভাবেই আরও ১০ বছর কেটে যায়। এক দিন হঠাৎ সঞ্জু বুঝতে পারলেন তার শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে। তখন চিকিৎসকের কাছে যান। মুম্বইয়ের হাসপাতালের চিকিৎসকেরা প্রথমে তাকে দেখে ভেবেছিলেন, তার পেটের ভেতরে টিউমার হয়েছে। কিন্তু সেই ধারণা কতটা ভুল তা তারা জানতে পারলেন অস্ত্রোপচারের টেবলে।

যে চিকিৎসকের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার চলছিল, তিনি সঞ্জুর পেটের হাত দিয়ে প্রথমে বলেন, ভেতরে প্রচুর হাড়গোড় রয়েছে। প্রথমে একটি পা বেরিয়ে আসে, তার পর আরও একটি পা। শরীরে আরও কিছু অংশও হাতে উঠে আসে তার। এর পর একে একে চিকিৎসক বের করে আনেন চুলের কিছু অংশ, পায়ের কিছু অংশ, চোয়াল, গলা, হাড়গোড়।

সেই সময় যারা অপরেশন থিয়েটারে ছিলেন, তারাও নাকি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। এক চিকিৎসক সেই ঘটনার বিবরণ দিয়ে বলেছেন, আমরা সেই সময় বুঝতেই পারছিলাম না কী করব। একই সঙ্গে আতঙ্ক আর বিস্ময় ঘিরে রেখেছিল আমাদের।

পরে চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেন এটি আসলে একটি বিরল ঘটনা। যেখানে মায়ের গর্ভে একটি ভ্রূণের ভেতরে আরও একটি ভ্রূণ জন্ম নেয়। চিকিৎসাশাস্ত্রে এই ধরনের ঘটনাকে বলা হয় ‘ফিটাস ইন ফিটু’। যেখানে মা যমজ সন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু এক সন্তানের ভেতরেই জন্ম নেয় আর একজন।

একজন স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও অন্য জন তার ভেতরে পরজীবীর মতো বাড়তে থাকে এ ক্ষেত্রে। সাধারণত যার শরীরের ভেতরে এ সব হচ্ছে, তিনি ধীরে ধীরে বিষয়টি টের পান। চিকিৎসকরা জানান, সঞ্জু তার শরীর থেকে বেরনো যমজ ভাইয়ের দেহ দেখতে চাননি। সেই সমস্ত অগঠিত হাড়গোড়, মাংসপিণ্ডের দিকে ফিরেও তাকাননি তিনি। এখন সঞ্জু নাগপুরের বাড়িতে তার পরিবারের সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখনও তাকে ‘প্রেগন্যান্ট ম্যান’ বা গর্ভবান পুরুষ বলেই চিনেন আশপাশের মানুষজন।

তথ‌্যসূত্র: আনন্দবাজার

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ