নিজস্ব প্রতিবেদক // নরসিংদীর মনোহরদীতে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত জাহাঙ্গীর হোসেন (২৭) নামের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে নিহত হয়েছেন।
শুক্রবার (১৬ জুন) রাতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন মনোহরদী থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন।
নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন (২৭) মনোহরদী উপজেলার বড়চাপা ইউনিয়নের উরুলিয়া গ্রামের মৃত আলাল উদ্দিনের ছেলে ও একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
নিহতের পরিবার, পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত ২৮ মে উরুলিয়া ও মির্জাপুর গ্রামের মধ্যে ফুটবল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মির্জাপুর গ্রামের ফুটবল খেলোয়াড় ও তাদের সমর্থকদের বাকবিতণ্ডা হয়।
সে ঘটনার ১৪ দিন পর রোববার (১১ জুন) বিকালে জাহাঙ্গীর হোসেন তার দুই বন্ধু শাহীন ও তানজীলকে নিয়ে চালাকচর বাজার রয়েল ফাস্টফুড থেকে খাবার খেয়ে মোটরসাইকেল যোগে নিজ গ্রাম উরুলিয়ায় ফিরছিল।
পথে চালাকচর বাজার সংলগ্ন চালাকচর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা আনুমানিক ৮-১০ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দুর্বৃত্তের দল মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় দুর্বৃত্তরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে জাহাঙ্গীর হোসেন ও তার দুই বন্ধু শাহীন ও তানজীলকে বেধড়ক মারধর করে।
দুর্বৃত্তদের মারধরে জাহাঙ্গীর হোসেন ও শাহীন মিয়া রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং তানজীল গুরুতর আহত অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে দৌড়ে গিয়ে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়। এ সময় তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে গুরুতর আহত জাহাঙ্গীর হোসেনকে ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে এবং শাহীনকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাহাঙ্গীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে আইসিইউতে পাঠানো হয়। ঘটনার পাঁচদিন পর শুক্রবার (১৭ জুন) রাত নয়টায় মারা যান জাহাঙ্গীর।এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সুমন মিয়া বাদী হয়ে মনোহরদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঘটনার পর থানায় একটি মারপিটের অভিযোগ করা হয়েছিল। এটি এখন হত্যাকাণ্ডের ধারায় পরিণত হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply