নিজস্ব প্রতিবেদক // পটুয়াখালী জেলার মির্জাগঞ্জ উপজেলার ১নং মধাবখালী ইউনিয়নের পশ্চিম চৈতা গ্রামের হুমায়ুর করিব ওরফে চুন্নু মন্সি ও তার বাহিনী কর্তৃক ২ নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে আহত করে। আহতরা মুমূর্ষু অবস্থায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে। ঘটনার অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে উপজেলার ১নং মাধবখারী ইউনিয়নের পশ্চিম চৈতা গ্রামের মৃত আজিজ মুন্সির ছেলে হুমায়ুন কবির ওরফে চুন্নু মন্সি (৬৫), তার স্ত্রী সুমি বেগম (৪০), মৃত আব্দুল মান্নান মুন্সির ছেলে মিজানুর মুন্সি (৪০) এবং প্রতিবেশী কনিকা বেগম (৩০) সহ আরও কয়েকজনের হামলায় নাছিমা বেগম (৪০) ও ফাতিমা বেগম (৫০) নামের ২ নারীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে বলে জানিয়েছে আহতরা। হামলার শিকার আহত নাছিমা বেগম ঘটনার বর্ণনায় বলেন প্রতিবেশি হুমায়ুন কবির ওরফে চুন্নু মুন্সি গত ২২ মে -২০২৩ইং তারিখ রাতের আধারে আমাদে পৈত্রিক সম্পত্তির মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। ২৩ মে-২০২৩ইং লোক মারফত খবর পেয়ে আনুমানিক সকাল ৮.৩০ ঘটিকায় আমি ও ফাতিমা বেগম স্বশরীরে জিজ্ঞাসা করিতে গেলে চুন্নু মুন্সি ও তাহার দলবলসহ আমাদের কোন কিছু না বলে অতর্কিত হামলা চালায় এবং ধারালো অস্ত্র-সস্ত্র লাঠি সোঠা ও দাও দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিলে নাছিমা বেগম এর মাথার বাম পার্শ্ব কেটে রক্ত ঝড়তে থাকে । আহতদের ডাক চিৎকারে লোকজন এলে হামলাকারীরা চলে যায়। পরক্ষণে আহত নাছিমা বেগম এর বোন জামাই জাহাঙ্গীর আকন আহতদের মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। উক্ত ব্যাপারে থানায় মামলা করতে চাইলে চুন্নু মুন্সি ও তাহার লোক জন বিভিন্ন ধরনের ভয় ভিতি এবং জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকে। চুন্নু মুন্সির এমন হুমকিতে ফাতিমা বেগম ও নাছিমা বেগম এর পরিবারবর্গ চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগতেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ চুন্ন মুন্সি ও তার লোক জনের হুমকি ও ক্ষমতার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায়না। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি। উক্ত বিষয় জানতে অভিযুক্ত চুন্নু মুন্সি ও তার লোক জনের কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply